পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারার প্রচেষ্টায় সাফল্য পাবেন। ব্যবসায় লগ্নি বৃদ্ধির সম্ভাবনা । শরীর একপ্রকার থাকবে। ... বিশদ
আরামবাগের এসডিপিও সুপ্রভাত চক্রবর্তী বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিস দুষ্কৃতীদের ধরার জন্য তদন্ত করছে।
গোঘাটের গড় মান্দারণ এলাকার বাসিন্দা সহদেব রায় পেশায় দিনমজুর। তিনি ও তাঁর স্ত্রী একজনের বাড়িতে কাজ করেন। বাস করেন মাটির বাড়িতে। সহদেববাবুর তিন মেয়ে। দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে বাড়িতে স্ত্রী ও ছোট মেয়েকে নিয়ে থাকেন। সম্প্রতি বাংলার বাড়ি প্রকল্পে সহদেববাবুর অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির ৬০হাজার টাকা ঢোকে। এদিন সকালে তিনি ও তাঁর বড় মেয়ে রত্না রায়কে নিয়ে কামারপুকুর চটি এলাকায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে যান। সহদেববাবু যাঁর বাড়িতে কাজ করেন, তাঁরই বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার কথা ছিল। সেই জন্য টাকা তুলে তাঁর বাড়ি যাচ্ছিলেন।
রত্নাদেবী বলেন, বাবা ও আমি একসঙ্গে যাচ্ছিলাম। আচমকা একটি বাইকে দু’জন এসে জিজ্ঞাসা করে সামনের এই রাস্তা কোন দিকে যাচ্ছে। আমি ওদের বলি, এটা বেঙ্গাই রোড। সেই সময়ই বাইক ঘুরিয়ে তারা আমার সাইকেলের খাঁচায় থাকা টাকার ব্যাগ নিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তখন ব্যাগ নিয়ে আমার সঙ্গে টানাটানি হয়। আমি পড়ে যাই। বাইকের পিছনে থাকা দুষ্কৃতীও পড়ে যায়। কিন্তু, তারপর ফের বাইকে উঠে কামারপুকুর চটির দিকে চলে যায়। টাকা ছিনতাই হয়ে যাওয়ায় খুব সমস্যায় পড়লাম। ব্যাগে আবাসের টাকা ছাড়াও মোবাইল, আধার কার্ড সহ অন্য সব নথি ছিল। সব ছিনতাই হয়ে গিয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী লক্ষ্মীকান্ত সাহা বলেন, সহদেব ও তাঁর স্ত্রী গ্রামে আমাদের বাড়িতেই কাজ করে। খুবই গরিব পরিবার। আমার কামারপুকুর চটির বাড়িতেই ওরা টাকা দিতে আসছিল। সেই সময় বাইকে থাকা দুষ্কৃতীরা রত্নার সঙ্গে কথা বলছিল। আমি ভেবেছিলাম, ওই দু’জন ওদের পরিচিত। কিন্তু, এরকম হবে আশা করিনি। পুলিস ঘটনার তদন্ত করে দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করুক। তারসঙ্গে ছিনতাই হওয়া টাকা উদ্ধার হলে খুব ভালো হয়। না হলে পরিবারটি পাকা ঘর করতে খুবই সমস্যায় পড়বে।
পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ছিনতাইয়ের ঘটনা দেখা গিয়েছে। অন্য ক্যামেরায় দেখা যায়, তারা কামারপুকুর চটি এসে ঘুরপথে বাঁকুড়া জেলার দিকে চলে গিয়েছে। আশা করছি, দ্রুত দুষ্কৃতীরা ধরা পড়বে।