চিকিৎসাশাস্ত্রের অধ্যয়নে বিশেষ উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। কর্মস্থল পরিবর্তন ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। মনে অস্থিরতা। ... বিশদ
অতিরিক্ত জেলাশাসক বলেন, দুর্গাপুর ব্যারেজের উপর রাস্তা ভেঙেচুরে গিয়েছে। তা দ্রুত সংস্কারের প্রয়োজন। কিন্তু, বিকল্প ব্যবস্থা না করে সংকীর্ণ ওই ব্যারেজের রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে না। সেক্ষেত্রে বাঁকুড়া-দুর্গাপুর রাজ্য সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে নদের উপর অস্থায়ী কজওয়ে নির্মাণের বিষয়টি এদিন আমরা সরেজমিনে খতিয়ে দেখি। এব্যাপারে ট্রাফিক পুলিসের সহায়তা প্রয়োজন। সেই কারণে পুলিস সুপারও ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। দ্রুত রাস্তা মেরামতের উদ্যোগ প্রশাসনের তরফে নেওয়া হয়েছে। তবে সব কাজই সেচ দপ্তর করবে। ফলে আমরা বিস্তারিত রাজ্য সেচদপ্তরে জানাব।
বিধায়ক বলেন, বাঁকুড়া-দুর্গাপুর রাজ্য সড়ক বড়জোড়া তথা জেলার অন্যতম লাইফ লাইন। ওই রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ রাখা যাবে না। বহু জায়গায় নদনদীর উপর অস্থায়ী কজওয়ে তৈরি করে সেতু বা ব্যারেজ সংস্কার করা হয়। বড়জোড়াতেও তা করা সম্ভব। হিউম পাইপ ও কংক্রিটের স্ল্যাব তৈরি করে দামোদর নদের উপর রাস্তা তৈরি করা যাবে। আগামী কয়েকমাস শীত ও গ্রীষ্মের ফলে নদে জল থাকবে না। শুকিয়ে যাওয়া নদের চরের উপর তৈরি রাস্তা ধরে সহজেই যানবাহন যাতায়াত করতে পারবে। আমি সেই বিষয়টি এদিন পুলিস সুপার ও অতিরিক্ত জেলাশাসককে জানিয়েছি।
উল্লেখ্য, বাঁকুড়া-দুর্গাপুর রাজ্য সড়ক ধরে বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক সহ প্রতিদিন কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে। দুর্গাপুর তথা পশ্চিম ও পূর্ব বর্ধমানের বিস্তীর্ণ এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার ক্ষেত্রে ব্যারেজের রাস্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওই রাস্তা হয়ে বাসে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া তথা জঙ্গলমহলের বাসিন্দারা কলকাতা যাতায়াত করেন। ফলে রাস্তা বন্ধ রাখা সম্ভব নয়। আবার সংস্কার না হলে ব্যারেজের রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল করা মুশকিল হয়ে পড়বে। ব্যারেজের রাস্তার প্রায় পুরোটাই খানাখন্দে ভরে গিয়েছে। ব্যারেজ ও দু’দিকের অ্যাপ্রোচ রোড মিলিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তার আমূল সংস্কারের প্রয়োজন। বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করেই এদিন জেলা পুলিস ও প্রশাসনের পদস্থ কর্তা ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা এলাকা পরিদর্শনে যান।