চিকিৎসাশাস্ত্রের অধ্যয়নে বিশেষ উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। কর্মস্থল পরিবর্তন ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। মনে অস্থিরতা। ... বিশদ
বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, বাঘিনী দ্রুত এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাচ্ছে। ইন্টারনেট পরিষেবার অভাবে গতিবিধি বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে। তবে বনবিভাগ বাঘিনীকে ধরার সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে। স্থানীয় গ্ৰামবাসীদের সতর্কভাবে চলাফেরা করতে বলা হয়েছে। অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। যদিও জঙ্গল লাগোয়া গ্ৰামগুলোতে বাঘিনীর আতঙ্ক উত্তরোত্তর বাড়ছে। ঝাড়গ্রাম বনবিভাগের বেলপাহাড়ী ও বাঁশপাহাড়ী রেঞ্জ জুড়ে ঘন শাল, পিয়ালের জঙ্গল। দিনেও সূর্যের আলো ভালোভাবে প্রবেশ করতে পারে না। বাঁশপাহাড়ীর পাদদেশে ঘন জঙ্গল এখন বাঘিনী জিনাতের বিচরণ ক্ষেত্র। জঙ্গল সংলগ্ন জুজারধারা, জবলা, ছুরিমারা, মানিয়ার্ডি , তেলিঘানা, ওড়লি, দলাদলি, আমলাশোল, ময়ূরঝর্ণা, কাঁকড়াঝোর এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
গত শুক্রবার ভোরে ঝাড়খণ্ডের রাজাবাসা, চাকুলিয়া হয়ে ঝাড়গ্রামের ওদলচুয়াতে জিনাত প্রথমে ঢোকে। শনিবার ভোরে বাঁশপাহাড়ী রেঞ্জ এলাকায় শেষবার তার গতিবিধির সন্ধান পাওয়া যায়। বনবিভাগের কর্মীরা খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। যদিও সেখানে বাঘিনীর দেখা মেলেনি। ইন্টারনেট পরিষেবার অভাবে বাঘিনীর গতিবিধির খবর পেতে বনবিভাগকে সারাদিন হিমশিম খেতে হয়। বাঘের সন্ধান না পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তে ভুলাভেদা রেঞ্জ এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আরও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সকাল থেকে বনবিভাগের তরফে মাইকিং করে জঙ্গলে না যাওয়ার জন্য দিনভর প্রচার চালানো হয়। বাঘের গতিবিধি সত্ত্বেও কাঁকড়াঝোড় জঙ্গলে পর্যটকদের এদিন আসতে দেখা গিয়েছে। জঙ্গলের ভিতর সেলফি তোলার হিড়িকও দেখা গিয়েছে। বনদপ্তরের পক্ষ থেকে জঙ্গলে না যাওয়ার কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
জুজারধারা গ্ৰামের বাসিন্দা নিত্যানন্দ মাহাত বলেন, সকালে বনবিভাগের অফিসাররা গাড়ি করে গ্ৰামে এসেছিলেন। গ্ৰাম লাগোয়া জঙ্গলে বাঘের ঢোকার খবর শুনছি। জঙ্গলের দিকে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। চাষবাস ও পশুপালন করে গ্ৰামবাসীদের সংসার চলে। বাড়ি থেকে বের হতে না পারায় বিপদের মধ্যে পড়েছি। সিঙ্গাডোবা এলাকার বাসিন্দা জগন্নাথ মাহাতো বলেন, কাঁকরাঝোড় জঙ্গলে পঞ্চাশ বছর আগেও বাঘ, ভাল্লুক দেখা যেত। জঙ্গল আগের থেকে ছোট হয়ে এসেছে। ওড়িশা থেকে একটা বাঘিনী আসার খবর শুনছি। দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় জানি বন্য জন্তুরা মানুষের কাছ থেকে দূরেই থাকে। ওদের এলাকার কাছে না গেলে কিছু করে না। ঝাড়গ্রামের ডিএফও উমর ইমাম এদিন বলেন, ভুলাভেদা রেঞ্জের কাঁকরাঝোড় জঙ্গলে বাঘিনীর গতিবিধি রয়েছে। • বেলপাহাড়ির ভুলাভেদা জঙ্গলে জিপিএস ট্র্যাকার মেশিন দিয়ে বাঘটির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। -নিজস্ব চিত্র