কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
এদিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল, লক্ষ্মীপুর মাঠে তাদের বিশাল দু’টি বাড়ি রয়েছে। একটির একতলায় রোগী ভর্তি রয়েছে। কোনও বেড নেই। কোনও মেশিনও চোখে পড়ল না। মেঝেতেই এক বৃদ্ধা পড়ে রয়েছেন। ঘরের এক পাশে রয়েছে একটি চেয়ার ও টেবিল। সেখানেই বাবা ও ছেলে চিকিৎসক সেজে রোগীদের চিকিৎসা করে। টেবিলের উপর প্রেসক্রিপশনে বাবা ও ছেলের বড় বড় ডিগ্রি লেখা রয়েছে। ‘নার্সিংহোমের’ উল্টো দিকে তাদের ওষুধের দোকান রয়েছে। সেখানেও তারা রোগী ভর্তি করে বলে স্থানীয়দের দাবি। এদিন পুলিস গিয়ে ‘নার্সিংহোম’টি বন্ধ করেছে। বাবা ও ছেলেকে আটক করে আনে। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিস।
ধৃতদের মধ্যে একজন বলে, এমবিবিএস করিনি। সরাসরি ডাক্তারি পড়েনি। কিন্তু, একটা কোর্স করেছি। সেই কারণেই ডাক্তার লিখি। আগে একবার গ্রেপ্তার হয়েছিলাম। সেই কেস এখনও চলছে। সে বলে, নার্সিংহোমের কোনও লাইসেন্স নেই। তবে এখানে রোগী ভর্তি রেখে চিকিৎসা করতাম। অনেকের ফিজিওথেরাপিও করা হতো। স্থানীয় বাসিন্দারা অবশ্য বলছেন, ওই বাড়ির নীচেরতলা সবার কাছে নার্সিংহোম নামেই পরিচিত। বাবা ও ছেলে সেটা প্রচারও করত। তবে, তারা স্থানীয় কাউকে ভর্তি করত না। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করতে আসা ভিন জেলার রোগীদের মগজ ধোলাই করে তারা নিয়ে আসত। কয়েক দিন ভর্তি রাখার পর ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা বিল করত। অনেকে জমি বন্ধক রেখে তাদের বিল মিটিয়েছে। পাড়ার লোকজনের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ছিল না। কিন্তু, কয়েকজন প্রভাবশালীর সঙ্গে তাদের সুসম্পর্ক ছিল। তাদের মাধ্যমেই বছরের পর বছর ধরে কারবার চালিয়ে আসছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের তারা চমকে রাখত।
বর্ধমানের মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক জয়রাম হেমব্রম বলেন, অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। তাদের কাছে কী কী নথি রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বর্ধমান থানার পুলিস জানিয়েছে, দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছে থেকে রিপোর্ট পাওয়া গেলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশ সরকার বলেন, স্বাস্থ্যদপ্তরের আরও একটু সক্রিয় হওয়া উচিত। এটা বড় অপরাধ। বিধায়ক খোকন দাস বলেন, কাগজপত্র ছাড়া এরকম আরও অনেক নার্সিংহোম চলছে। সেগুলির বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেওয়া হবে। নিজস্ব চিত্র