চিকিৎসাশাস্ত্রের অধ্যয়নে বিশেষ উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। কর্মস্থল পরিবর্তন ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। মনে অস্থিরতা। ... বিশদ
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ভোররাতে অসম রাইফেলস এবং রাজ্য পুলিসের এসটিএফ হরিহরপাড়ায় হানা দিয়ে আব্বাস ও মিনারুলকে গ্রেপ্তার করে। এলাকার শিশুদের মধ্যে দেশবিরোধী মনোভাব বিস্তার করা ছিল তাদের প্রধান লক্ষ্য। নানাভাবে এলাকার শিশুদেরকে আব্বাস নিজের মাদ্রাসায় নিয়ে আসার চেষ্টা করত। আব্বাসদের এই মাদ্রাসায় কীভাবে প্রশিক্ষণ চলছে, সে ব্যাপারে খোঁজ নিত শীর্ষ জঙ্গি নেতারা। তাদের লক্ষ্য ছিল রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় নাশকতা, হাঙ্গামা বাঁধানো এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হিন্দুত্ববাদী নেতাদের নিকেশ করার জন্য স্লিপার সেলকে মজবুত করা। তাই এমন ছোট ছোট মাদ্রাসা খুলে শিশুদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। এই পরিকল্পনার অন্যতম অংশীদার ছিল মিনারুল।
জানা গিয়েছে, আব্বাস ২০০২ সাল নাগাদ বেলডাঙা থানার অন্তর্গত কাপাসডাঙা এলাকা থেকে হরিহরপাড়ার বহরানে আসে। এখানে বাড়ি বানিয়ে স্ত্রী এক সন্তান ও বয়স্ক মাকে নিয়ে বসবাস শুরু করে।
এলাকার বাচ্চাদের সঙ্গে মেলামেশা বাড়ানোর চেষ্টা করত সে। ইদানিং রাজমিস্ত্রির কাজ করত না। সারাক্ষণ মাদ্রাসায় সময় দিত। মাঝে মধ্যে নিয়ামতপুর এলাকায় নিজের শ্বশুরবাড়িতে রাত কাটাত আব্বাস। আব্বাস এবং মিনারুল দুজনে মিলে বড় কিছু করার পরিকল্পনা নিয়েছিল। তার আগেই তাদের পাকড়াও করেছে পুলিস। এদিকে, আব্বাসের বাড়ি থেকে একটি পাসপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। সেটি খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী আধিকারিকরা। (ধৃত আব্বাস আলির বাড়ি। নিজস্ব চিত্র)