কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
বঙ্গে সাইবার ক্রাইমের ‘আঁতুড় ঘর’ হয়ে উঠেছিল রানাঘাট লাগোয়া কুপার্স ক্যাম্প এলাকা। কখনও জামতাড়া কায়দায় আবার কখনও চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করতে সিদ্ধহস্ত এই এলাকার সাইবার প্রতারকরা। সম্প্রতি একাধিক পুলিসি অভিযানে খানিকটা ধাক্কা খায় প্রতারকরা। তা সত্ত্বেও সক্রিয় রয়েছে কুপার্সের প্রতারণা চক্র। একটি লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা চক্রের হদিশ পায় তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, রানাঘাট থানার অন্তর্গত কুপার্স ফাঁড়িতে সম্প্রতি একটি অভিযোগ দায়ের হয়। রানাঘাট পুরসভার সূর্যনগর এলাকার বাসিন্দা রূপা পাত্র ‘নারিশ নারচার অর্গানাইজেশন’ নামে একটি সংস্থার বিরুদ্ধে সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে যুবক-যুবতীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তোলেন। তারা কখনও রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যদপ্তরে চাকরি আবার কখনও এআই প্রশিক্ষণ দিয়ে সরকারি অন্যান্য দপ্তরে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তুলছিল।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে কুপার্স ক্যাম্প ফাঁড়ির পুলিস। তদন্তে বেশকিছু তথ্য জানার পর গ্রেপ্তার করা হয় তিনজন মহিলাকে। ধৃতরা ওই সংস্থার ‘মালিক’ বলে দাবি। তাঁদের শান্তিপুর থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত বৃহস্পতিবার তাদের রানাঘাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক পাঁচদিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, কুপার্স ক্যাম্পের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে চলছিল ওই ভুয়ো সংস্থাটি। গত কয়েক মাসে প্রচুর যুবক-যুবতীর কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এই প্রতারণা চক্র আর কী কী ভাবে সক্রিয় ছিল তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে। ভুয়ো ওই সংস্থার সঙ্গে আর কে কে যুক্ত তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।