কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
পুরসভা সূত্রের খবর, শুরু থেকে পুরসভার আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট কোনও জায়গা ছিল না। শহরের আয়তন ছোট থাকাকালীন পুরুলিয়া-বাঁকুড়া জাতীয় সড়কের পাশে আবর্জনা ফেলা হতো। এছাড়াও, পুরুলিয়া-জামশেদপুর জাতীয় সড়কের পাশে দুলমি এলাকায় কিছু আবর্জনা ফেলা হতো। কিছু ফেলা হতো পুরুলিয়া-বরাকর রাজ্য সড়কের পাশে গোশালা লেভেল ক্রসিংয়ের অদূরে। যেখানেই আবর্জনা ফেলা হতো, সেইসব জায়গা ব্যক্তি মালিকানাধীন। পরবর্তীতে শহরের আয়তন যখন বাড়তে থাকে, আবর্জনার পরিমাণও বাড়তে থাকে। যেখানে আবর্জনা ফেলা হতো, সেইসব জমির মালিক সহ আশেপাশের বাসিন্দারা আপত্তি তুলতে থাকেন। আবর্জনা নিয়ে মুশকিলে পড়তে হয় পুরসভাকে। প্রশাসনের দ্বারস্থ হয় পুরসভা।
২০১৬-’১৭ সাল নাগাদ শহরের বাইরে প্রায় ১০কিলোমিটার দূরে ছড়রায় পুরসভাকে প্রায় এক একর জমি দেয় জেলা প্রশাসন। সেখানেই আবর্জনা ফেলতে শুরু করে পুরসভা। কিন্তু, খোলা জায়গায় আবর্জনা ফেলায় স্থানীয় বাসিন্দারা আপত্তি জানাতে থাকেন। শুরু হয় পাঁচিল তৈরির কাজ। বরাদ্দ হয় এক কোটি টাকা। পাঁচিল তৈরি হয়ে যখন রং করা বাকি, তখন বাধা আসে প্রশাসনের তরফেই! প্রশাসনের তরফে পুরসভাকে জানানো হয়, আবর্জনা ফেলার জন্য যে জমি দেওয়া হয়েছিল তার অদূরেই রয়েছে ছড়রার পরিত্যক্ত এয়ারস্ট্রিপ। সেটি সংস্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। তাই ওখানে আর আবর্জনা ফেলা যাবে না। পুরসভাকে অন্যত্র জায়গা খোঁজার নির্দেশ দেওয়া হয়।
ফের শুরু হয় জমি খোঁজা। বহু খুঁজে পুরুলিয়া-২ ব্লকের হুটমুড়ার কাছে জমি মেলে। তবে, তা এতই দূর, শহরের ভ্যাট থেকে ট্রাকে করে আবর্জনা সেখানে নিয়ে যেতেই দিনের অর্ধেক সময় চলে যায়! ফলে, শহরের বহু ভ্যাটে আবর্জনা জমেই থাকে! দেশবন্ধু রোড, বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা, নীলকুঠিডাঙা, ডিগুডিপাড়া, রাঘবপুর, ভাটবাঁধ যাওয়ার রাস্তার ধার সহ বিভিন্ন এলাকায় আবর্জনা জমেই থাকে। পুরসভার চেয়ারম্যান নব্যেন্দু মাহালি বলেন, এটা পুরসভার অন্যতম জ্বলন্ত সমস্যা। ১৫০ বছর ধরে যাঁরা পুরসভা চালিয়েছেন, তাঁরা কেউ যদি ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা করে শহর সংলগ্ন এলাকায় একটা জমি কিনে রাখতেন, তাহলে আমাদের এই সমস্যায় পড়তে হতো না।
পুরসভার কাউন্সিলার প্রদীপ ডাগা, বিভাসরঞ্জন দাস বলেন, প্রশাসনকে অনুরোধ করব এব্যাপারে একটু নজর দেওয়ার জন্য। প্রশাসনের এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, বিষয়টি আমাদেরও নজরে রয়েছে। কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায়, তা দেখা হচ্ছে।