যে কোনও কাজকর্মে সকালের দিকে বিশেষ উন্নতির যোগ। বিকেলের দিকে অবশ্য কিছু বাধা আসতে পারে। ... বিশদ
রাজুর বাবা অনাথ পাল মানকরের প্রবীণ মৃৎশিল্পী। তিনি বলেন, রাজু জন্ম থেকেই মূক ও বধির। জন্মের পর কথা বলতে পারছে না দেখে আমরা মুষড়ে পড়েছিলাম। অনেক ডাক্তার দেখিয়েও স্বাভাবিক করতে পারিনি ওকে। ভগবানের ইচ্ছে বলে আমরা সবটাই মেনে নিয়েছি। তবে আমাকে মূর্তি গড়তে দেখে ও ছোট থেকেই মূর্তি গড়ার প্রতি আকৃষ্ট হয়। স্থানীয়রা জানান, রাজু ছোট থেকেই অক্লান্ত পরিশ্রম করতে পারেন। এখন নিজেই মূর্তি তৈরি করছেন রাজেন্দ্র। দুর্গা, কালী ছাড়াও জগদ্ধাত্রী, অন্নপূর্ণা সমস্ত মূর্তি তৈরি করতে পারেন। আর পাঁচজন মৃৎশিল্পীর মতোই তিনিও সমান পারদর্শী। অনাথবাবু বলেন, ওর মূর্তি তৈরিতে আগ্রহ রয়েছে বুঝে আমরা সকলে মিলে ওকে মূর্তি গড়া শেখাতে শুরু করি। এখন ও নিজেই মূর্তি তৈরি করতে পারে। তবে একসঙ্গে যখন অনেকে মূর্তি করি তখন অসুবিধা হয়। এক মনে হয়তো মূর্তি করতে গিয়ে কিছু ভুল করছে, সেটা ইশারার মাধ্যমে কাছে গিয়ে বোঝাতে হয়। তিনি জানান, রাজেন্দ্র এখন অন্নপূর্ণা মায়ের মূর্তি তৈরি করছে। ১৫টি মূর্তির বরাত পেয়েছেন তাঁরা। রাজেন্দ্রপ্রসাদের মূর্তি দেখে অন্য জেলা থেকেও মূর্তি তৈরি জন্য বরাত আসছে। রাজেন্দ্রপ্রসাদ বিয়ে করেছেন। মূর্তি গড়ার কাজে তাঁর ছেলে অরূপ পালও সঙ্গে থাকে। অরূপ বলে, বাবার লড়াই আজ আমাদের লড়াই হয়ে উঠেছে। সমস্ত প্রতিকূলতাকে জয় করে বাবা মূর্তি তৈরি করছেন। সেই মূর্তি পুজো হচ্ছে। এটাই গর্বের। মানকরের বাসিন্দা সঞ্জীবকুমার পাল বলেন, মূর্তি গড়ার বিষয়ে রাজু খুবই আত্মবিশ্বাসী। শারীরিক সমস্যা নিয়ে ও কখনও হীনমন্যতায় ভোগেনি। লড়াইয়ের ময়দান ছাড়েনি। এই জয় শৃঙ্গ জয়ের সমান।-নিজস্ব চিত্র