যে কোনও কাজকর্মে সকালের দিকে বিশেষ উন্নতির যোগ। বিকেলের দিকে অবশ্য কিছু বাধা আসতে পারে। ... বিশদ
সিউড়ির কোমা গ্রামের বধূ চৈতালি সাহাকে এদিন সকাল ৭টা নাগাদ অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানকার চিকিৎসক সব্যসাচী মণ্ডলের তত্ত্বাবধানে সন্তান প্রসবের জন্য তাঁকে ভর্তি করিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা জানান, গত নয়মাস ধরে ওই চিকিৎসকের প্রাইভেট চেম্বারেই পরামর্শ নিতেন চৈতালিদেবী। তাঁর পরামর্শেই তাঁকে ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়।
অভিযোগ, ২০ ডিসেম্বর স্বাভাবিক প্রসবের তারিখ ছিল। কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শে ওই বধূ আগাম সন্তান প্রসবের জন্য ভর্তি হয়েছিলেন। সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ তাঁকে ওটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ পরিবারকে জানায়, ওই বধূ মৃত সন্তান প্রসব করেছেন। একথা শুনেই পরিবারের লোকজন উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এরপর চিকিৎসক এসে ওই বধূর মৃত সন্তান প্রসবের কারণ তুলে ধরেন। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। নার্সিংহোমের রিসেপশনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন রোগীর পরিবারের লোকজন। তাঁদের অভিযোগ, রিসেপশনে কেউ উপস্থিত ছিলেন না। নার্সিংহোমের এক মহিলা কর্মী তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। ওই বধূর বৌদি কল্পনা সাহা বলেন, ডাক্তারবাবু যেভাবে বলেছিলেন, সেভাবেই আমরা চিকিৎসা করিয়েছিলাম। হঠাৎ ওটিতে নিয়ে যাওয়ার পর বলছে, আপনাদের রোগী মৃত শিশুর জন্ম দিয়েছে। এটা কীভাবে হয়? শিশুটির দেহে একাধিক ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। বুকে, পায়ে একাধিক জায়গায় ত্বক উঠে গিয়েছে। ওই বধূর মেসোমশাই অনুপকুমার সাহা বলেন, ডাক্তার যেভাবে বলেছিলেন, আমরা সেভাবেই চলেছি। এখন একটা কারণ দেখিয়ে বলছেন, বাচ্চা মারা গিয়েছে। আমাদের যে ক্ষতি হওয়ার, তা তো হয়েই গেল। ডাঃ সব্যসাচী মণ্ডল বলেন, ওই প্রসূতির ডায়াবেটিস ছিল। তাঁকে ইন্সুলিন নিতে হতো। সেকারণেই মৃত সন্তান প্রসব হয়েছে। চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি নেই। তাও ওঁরা যদি মনে করেন, তাহলে শিশুর ময়নাতদন্ত করার ব্যবস্থা করতে পারেন। -নিজস্ব চিত্র