যে কোনও কাজকর্মে সকালের দিকে বিশেষ উন্নতির যোগ। বিকেলের দিকে অবশ্য কিছু বাধা আসতে পারে। ... বিশদ
জেলাশাসক বলেন, ছাতনা সহ জেলার বেশকিছু জায়গায় পানীয় জলের সংযোগ দিতে দেরি হচ্ছে। পাইপ লাইন বসলেও জল পৌঁছচ্ছে না। দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থা কাজে ঢিলেমি করছে। এই বিষয়টি বরদাস্ত করা হবে না। ঘোষেরগ্রাম অঞ্চলে গিয়ে আমি এনিয়ে বাসিন্দাদের মুখে বিস্তর অভিযোগ শুনেছি। সাতদিনের মধ্যে জল পৌঁছে যাবে বলে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা আমাকে জানিয়েছেন। সাতদিনের মাথায় এলাকায় গিয়ে রিপোর্ট পাঠানোর জন্য বিডিওকে বলা হয়েছে।
এদিকে, প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিসের তরফেও বিষয়টি নিয়ে এলাকাভিত্তিক রিপোর্ট তৈরি করা হয়। সেই রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জেলা পুলিসের এক কর্তা জানিয়েছেন।
জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের বাঁকুড়া ডিভিশনের নির্বাহী বাস্তুকার আশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, বর্ষার সময় রাস্তা কাটার কাজ বন্ধ ছিল। সেই কারণে কিছু জায়গায় পাইপ বসানো যায়নি। তবে বর্তমানে পুরো দমে কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। উল্লেখ্য, রুখাশুখা বাঁকুড়ায় গরমে পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দেয়। আগে জেলাবাসী জলের জন্য হাপিত্যেস করে বসে থাকত। তবে বড়জোড়ায় দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল উত্তোলনের প্রকল্প চালু হওয়ার পর বাঁকুড়া শহর সহ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা পরিস্রুত পানীয় জল পাচ্ছেন। রাজ্য সরকার জেলার অন্যান্য ব্লক এলাকাতেও ছোটবড় একাধিক প্রকল্প রূপায়ণের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে। সেইমতো জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর কাজ করছে। তবে ওই দপ্তরের একাংশের বিরুদ্ধে বারবার উদাসীনতার অভিযোগ উঠেছে। কাজে ঢিলেমি দেখা সত্ত্বেও ঠিকাদারদের উপর কেন আধিকারিকরা চাপ সৃষ্টি করছেন না? কেনই বা খোদ জেলাশাসককে এব্যাপারে কড়া নির্দেশ দিতে হচ্ছে? এইসব প্রশ্ন প্রশাসনিক মহলে ঘুরপাক খাচ্ছে। পানীয় জল পরিষেবা থেকে বঞ্চিত সাধারণ মানুষও দপ্তরের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করছে। -নিজস্ব চিত্র