পত্নীর স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তা বৃদ্ধি। পারিবারিক ক্ষেত্রে আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা। কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
প্রতি বছর ধান কাটার এই সময়ে কৃষিদপ্তরের পক্ষ থেকে চাষিদের নাড়া পোড়াতে বারণ করা হয়। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে অনেক চাষি সেই নিয়ম মানেন না বলে অভিযোগ ওঠে। পানাগড়ের শিক্ষক তপন মণ্ডল বলেন, অবিলম্বে এই প্রবণতা আটকানো দরকার। পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এখন মেশিনে ধান কাটার ফলে গাছের যে অংশ জমিতে থাকছে তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বুদবুদের স্বপন পাল বলেন, এক শ্রেণির কৃষকদের ধারণা নাড়া পুড়িয়ে দিলে জমিতে ফলন ভালো হয়। কিন্তু এই ধারণা ভুল। না পুড়িয়ে নাড়া জমিতে রেখে দিলে তা থেকে জৈব সার তৈরি হয়। কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত চাষিরা কম্বাইন হারভেস্টরে ধান কাটার পর অবশিষ্ট অংশ জমি থেকে নষ্ট করতেই পুড়িয়ে ফেলেন। তবে, নাড়া পোড়ানো বন্ধ করতে চাষিদের লাগাতার সচেতন করা হচ্ছে। নাড়া পোড়ানের ফলে বাতাসে কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও কার্বন-মনোক্সাইড মিশে যায়। তাছাড়া চাষে উপকারী পোকামাকড়, জীবাণু বা অনুখাদ্য পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়। জমির উপরিভাগের অংশ আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে জমির উর্বরতা নষ্ট হয়ে যায়। গাছের প্রয়োজনীয় নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাসিয়াম, সালফার ইত্যাদি মৌল গাছের মধ্যেই থাকে। আগুনের ফলে সেগুলি বিষাক্ত গ্যাসে পরিণত হয়। যা জমির ও গাছের ক্ষতি করে।
কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছরে লাগাতার প্রচারের ফলে নাড়া পোড়ানো অনেকটাই কমেছে। গলসি-১ ব্লক কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চাষিদের সচেতন করতে ইতিমধ্যেই শোভাযাত্রা করা হয়েছে। ব্লকের পঞ্চায়েত প্রধানদের নিয়ে মিটিং করা হয়েছে। কীভাবে এলাকার চাষিদের সচেতন করতে হবে তা পঞ্চায়েতগুলিকে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি মানকর স্টেশন, বুদবুদ বাইপাস লাগোয়া একাধিক জায়গায় ব্যানার টাঙানো হয়েছে। চাষিদের সচেতনতার পাশাপাশি দপ্তরও নাজরদারি চালাচ্ছে। নাড়া পোড়ালে যে আখেরে চাষিদের ক্ষতি তা বোঝানো হচ্ছে।