পত্নীর স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তা বৃদ্ধি। পারিবারিক ক্ষেত্রে আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা। কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানের গতিপ্রকৃতি পর্যালোচনার জন্য এদিন বেলা ১১টা নাগাদ বাঁকুড়া শহরের একটি বেসরকারি লজে গেরুয়া শিবিরের নেতারা বৈঠক করেন। সেখানে সুভাষবাবুর পাশাপাশি বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুনীলরুদ্র মণ্ডল সহ অন্যান্য নেতানেত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের শুরুতেই সুভাষবাবুরা ‘সংবিধান দিবস’ পালন করেন। বড় করে মুদ্রিত আকারে থাকা সংবিধানের প্রস্তাবনা সহ কিছু অংশ কর্মীদের সামনে তুলে ধরে তাৎপর্য বিশ্লেষণ করেন। তখন সুভাষবাবু ওই বিতর্কিত মন্তব্য করেন। এদিন সুভাষবাবু বলেন, কাশ্মীরের ৩৭০ অনুচ্ছেদ সংবিধান থেকে বিলোপ করা যাবে না বলে একসময় দেশবাসী মনে করত। কিন্তু, আমাদের সরকার তা করে দেখিয়েছে। একইরকমভাবে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ও ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দও আগামী দিনে বাদ দেওয়া হবে। তবে বিজেপি সরকার মানুষের মতামত না নিয়ে কোনও কাজ করে না। এব্যাপারে জনমত তৈরি হলেই সংবিধানের ৩৬৮ অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করে সংসদে বিল আনা হবে। সুপ্রিম কোর্টে আমাদের দলের সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী সহ অন্যদের দায়ের করা মামলা খারিজ হলেও দেশজুড়ে একটা প্রচার হল। এর ফলে আগামী দিনে জনমত তৈরি হবে। তিনি আরও বলেন, জরুরি অবস্থার সময় কংগ্রেস গায়ের জোরে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ও ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দ দু’টি প্রস্তাবনায় জুড়ে দিয়েছিল। সংবিধান প্রণেতারা ওই দু’টি শব্দ জানতেন না, তা তো নয়। আসলে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারতবর্ষের ‘ডিএনএ’তে ধর্মনিরপেক্ষতা ঢুকে রয়েছে। ফলে তা আর আলাদা করে উল্লেখ করার কোনও প্রয়োজন নেই। বাম-কংগ্রেস-তৃণমূল আমাদের দলের গায়ে সাম্প্রদায়িক তকমা দেয়। বাঁকুড়া জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সুভাষবাবু কী মোদির আমলে গুজরাত দাঙ্গার কথা ভুলে গিয়েছেন? আসলে ধর্মীয় বিভাজন সৃষ্টি করে ক্ষমতা ভোগ করা বিজেপি-র গোপন এজেন্ডাগুলির অন্যতম।তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী বলেন, ছ’টি উপ নির্বাচনে গোহারা হেরেও বিজেপি-র শিক্ষা হয়নি। ১০০ দিনের কাজ বন্ধ করে ওরা মানুষকে ভাতে মেরেছে। এখন আবার ধর্ম নিয়ে সুড়সুড়ি দিয়ে জনমত তৈরির কথা বলছে। সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অজিত পতি বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতাকে বিজেপি ভয় পায়, সমাজতন্ত্র ওদের বিষাক্ত লাগে।