পত্নীর স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তা বৃদ্ধি। পারিবারিক ক্ষেত্রে আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা। কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
উল্লেখ্য, রাস্তাটি প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার। এই রাস্তা দিয়ে একদিকে নবদ্বীপের বাবলারি সুভাষ নগর আর একদিকে পূর্ব বর্ধমান জেলার নাদন ঘাট থানার ভান্ডারটিগুরিতে যাতায়াত করেন অনেকেই। বহু ছাত্রছাত্রীও এই রাস্তা দিয়ে যায়। নির্জন এই রাস্তাটির বিস্তীর্ণ এলাকা এখন ভাগাড়ে পরিণত।
বাবলারি পোস্ট অফিস পাড়ার বাসিন্দা, দুধ বিক্রেতা মানিক ঘোষ বলেন, এই রাস্তা দিয়ে আমি প্রতিদিনই পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী থানার ফলেয়ায় দুধ বিক্রি করতে যাই। সকাল বিকেল দু’ বেলা নাকে গামছা জড়িয়ে যাতায়াত করতে হয়। আগে অন্য জায়গায় জঞ্জাল ফেলত। সেসব জায়গায় এখন বসতি হয়ে গিয়েছে। গ্রামের লোক এখানে নোংরা আবর্জনা তো ফেলছেনই, এমনকী বাইরে থেকেও অনেকে এখানে নোংরা ফেলে যান।
নবদ্বীপ রানিরচড়ার বাসিন্দা সুবীর বণিক বলেন, প্রতি সপ্তাহে পূর্ব বর্ধমানের ভান্ডারটিগুরি পারুলিয়া ব্যবসার কাজে যাই। প্রতিদিনই রাস্তার দু›ধারে মৃত গবাদি পশু পড়ে থাকতে দেখি। দুর্গন্ধে যাতায়াত করা যাচ্ছে না। ওইসব মৃত জীবজন্তুগুলো কুকুরে টেনে রাস্তার ওপর নিয়ে আসছে।
স্থানীয় বাসিন্দা নিত্যানন্দপুরের বাসিন্দা শিখা কর্মকার বলেন, একটা সময়ে এ. রাস্তা দিয়ে প্রচুর মানুষ যাতায়াত করত। এখন অনেকেই যাতায়াত করা বন্ধ করে দিয়েছেন। টোটো চালক সেন্টু সাহা বলেন, এই রাস্তা দিয়ে হুরেরমুখ হয়ে অনেকেই কালনা-কাটোয়া রোড ধরে পূর্ব বর্ধমান জেলার এক দিকে কাটোয়া অন্যদিকে কালনার বিভিন্ন জায়গায় চলে যান। রাতের বেলা তো যাতায়াতই করা যাচ্ছে না। একদিকে দুর্গন্ধ, অন্যদিকে আলো নেই।
পূর্ব বর্ধমানের পরানপুরের বাসিন্দা উত্তম ঘোষ বলেন, এই রাস্তা দিয়ে নবদ্বীপ যেতে অনেকটা কম সময় লাগে। না হলে মাধাইপুর ঘাট হয়ে সুভাষ নগর দিয়ে ঘুরে যেতে হয়। কিন্তু রাস্তার দু’ ধারের অবস্থা খুব খারাপ। বাবলারি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নারায়ণ কর্মকার বলেন, ওখানে আবর্জনা ফেলা নিয়ে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ করছি। যত্রতত্র যাতে নোংরা আবর্জনা কেউ না ফেলে সেই জন্য পঞ্চায়েতের তরফ থেকে বোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে ভিআরপিদের ডেকে বলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পঞ্চায়েত থেকে আবর্জনা ফেলার জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ওই এলাকা থেকে যাতে আবর্জনাগুলো সরিয়ে ফেলা যায় সেই চেষ্টাও পঞ্চায়েত করছে। -নিজস্ব চিত্র