পত্নীর স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তা বৃদ্ধি। পারিবারিক ক্ষেত্রে আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা। কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
রূপনারায়ণ নদের পাশে ওই গ্রামটিতে হঠাৎই সোমবার রাতে চিতা বাঘের আকৃতির একটি প্রাণী দেখা যায়। স্থানীয়রা বলেন, অবিকল চিতাবাঘের মতো দেখতে। রাতের বেলার কারোর গোয়ালঘরে, কারোর বা বাড়ির পাশ দিয়ে ঘোরাঘুরি করছিল। ওই গ্রামের বাসিন্দা সন্দীপকুমার পাল, রণজিত পাল প্রমুখ বলেন, ‘আমাদের তো দেখে চিতাবাঘ বলেই মনে হয়েছে। ভিজে মাটিতে যেখানে পায়ের ছাপ পড়েছিল সেই ছাপগুলি বেশ বড়। মেছোবিড়ালের মতো নয়। ফলে এলাকার বাসিন্দারা সন্ধ্যা থেকেই ভয়ে সিঁটিয়ে ছিলেন। পুলিসকেও খবর দেওয়া হয়।’ পুলিস খবর পেয়ে এলাকায় সিভিক ভলান্টিয়াদেরও পাঠায় বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে বনদপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে, মেছো বিড়াল দেখতে কিছুটা বাঘের মতো। আকারটা বিড়ালের থেকে অনেকটা বড়। শরীরে ধূসর-সবুজ বর্ণের উপর কালো ফোঁটা থাকে। এদের শরীর জল নিরোধক প্রকৃতির। এরা খুব ভালো সাঁতার জানে। পায়ের তলায় বিশেষ ঝিল্লি থাকে যা সাঁতারে সহায়তা করে। এদের খাবারের মূল উপাদান হল মাছ, জলজ প্রাণী, পাখি এবং ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী। জলাভূমিতে মাছ শিকার করতে পছন্দ করে।
জলাভূমি ধ্বংস, শিকার, এবং বন উজাড় হওয়ার কারণে এদের সংখ্যা কমছে। পশ্চিমবঙ্গ বন দপ্তর এবং বিভিন্ন পরিবেশ সংস্থা মেছোবিড়াল রক্ষায় সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। বনদপ্তরের ঘাটালের রেঞ্জার দেবাশিস বিশ্বাস বলেন, ‘মঙ্গলবার বনদপ্তরের কর্মীদের এলাকায় পাঠানো হয়েছিল। এলাকায় সতর্কমূলক মাইক প্রচারও করা হয়েছে। স্থানীয়দের বোঝানো হয়েছে এই শান্ত প্রাণী কারোর ক্ষতি করে না। তাই এদের উপর কোনও আক্রমণ যেন না করা হয়।’ বনদপ্তরের কর্মীরা আশ্বাস দিয়েছেন, আগামী দিনে ওই বাঘরোল দেখতে পেলে তা খাঁচায় করে ধরে অন্যত্র ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।-নিজস্ব চিত্র