কাজকর্মের ক্ষেত্রে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। ক্রীড়াবিদদের সাফল্য লাভের সম্ভাবনা। পারিবারিক ক্ষেত্রটি মোটামুটি থাকবে। ... বিশদ
উল্লেখ্য, তালডাংরা আসনটি বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। গত লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী ৮২৩০৭টি ভোট পেয়েছিলেন। এবার বিজেপি সাকুল্যে ৬৪৬৩৭ ভোট পায়। লোকসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী ১৬৫২৫টি ভোট পেয়েছিলেন। এবার সিপিএম একা লড়াই করে ১৯৪৩০ ভোট পেয়েছে। এবার বিধানসভা উপ নির্বাচনে কংগ্রেস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ২৮২২ ভোট পেয়েছে। ফলে পরপর নির্বাচনে লাগাতার বাম ভোট স্রোতের মতো বিজেপিতে যাওয়া কিছুটা হলেও কমার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে বলে সিপিএম মনে করছে।
তালডাংরার সিপিএম প্রার্থী দেবকান্তি মোহান্তি বলেন, কংগ্রেসের ভোট বাদ দিলে আমরা গত লোকসভার থেকে হাজার ছয়েক ভোট বেশি পেয়েছি। কংগ্রেসকে ছেড়েও আমরা ভালো ফল করতে পারব। জঙ্গলমহলবাসী আমাদের উপর ফের ভরসা রাখতে শুরু করেছে। ভোটের ফলাফলের উপর আমাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নির্ভর করে না। মানুষের দাবিদাওয়া পূরণে, জনস্বার্থে আমরা একইভাবে বাসিন্দাদের পাশে থাকব। তাঁদের সঙ্গে নিয়ে বিজেপি-তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করব। আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদের সুফল আমরা পেয়েছি।
বিজেপি প্রার্থী অনন্যা রায় চক্রবর্তী বলেন, লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন ভিন্ন প্রেক্ষাপটে হয়। তাছাড়া উপ নির্বাচনে সাধারণ মানুষ শাসক দলের পক্ষেই থাকে। পরের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি তালডাংরায় জয় পাবে। সিপিএম মানুষের মন থেকে দূরে সরে গিয়েছে। রাজ্যে আমরাই প্রধান বিরোধী দল।
তৃণমূল প্রার্থী ফাল্গুনী সিংহবাবু বলেন, এতদিন বামের ভোট রামে যাচ্ছিল। এবার উলটপূরাণ হয়েছে। তবে ওরা সবসময় দ্বিতীয় হওয়ার জন্য লড়াই করে। তৃণমূলই জনগণের মূল ভরসা। আগামী দিনেও জঙ্গলমহলে আমাদের জয়ের ধারা অব্যাহত থাকবে।
কংগ্রেস প্রার্থী তুষারকান্তি ষন্নিগ্রহী বলেন, একা লড়াইয়ের কথা আমরা কার্যত ভুলেই গিয়েছিলাম। বামেদের ছেড়ে একলা লড়াইয়ের বীজ নতুন করে বপন করলাম। আগামী দিনেও একা লড়াই করব। তখন সুফল পাওয়া যাবে। আপাতত আমরা জঙ্গলমহলে সংগঠন বৃদ্ধির দিকে নজর দেব।