কাজকর্মের ক্ষেত্রে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। ক্রীড়াবিদদের সাফল্য লাভের সম্ভাবনা। পারিবারিক ক্ষেত্রটি মোটামুটি থাকবে। ... বিশদ
গত ১৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় বেলডাঙা থানা এলাকায় অশান্তির ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়ায়। রাজ্য পুলিসের শীর্ষ আধিকারিকরা বেলডাঙার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য উঠেপড়ে নামেন। স্থানীয় মানুষ ও পুলিসের সহযোগিতায় পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে। কেউ যাতে কোনও গুজব ছড়াতে না পারে, তারজন্য জেলাজুড়ে ছ’দিন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। বিভিন্ন এলাকায় শান্তি কমিটির তরফে বৈঠক ডাকা হয়। পাশাপশি উপদ্রুত এলাকায় বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও।
রেজিনগরের তৃণমূল বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরী বলেন, কোথাও আর কোনও সমস্যা নেই। আমরা সমস্ত এলাকায় মানুষের মনে আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য কথা বলছি। পুলিস ও প্রশাসন আপ্রাণভাবে চেষ্টা করেছে যাতে মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে। কেউ কোথাও যাতে গুজব না ছাড়ায় সেই জন্য আমরা নজর রাখছি। এখানকার জনজীবন সম্পূর্ণ স্বাভাবিক আছে।
এদিন অর্চনাদেবী বলেন, এই ধরনের ঘটনা আগে এত ঘটত না। আমরা বেলডাঙার ১০টি এলাকায় ঘুরলাম। অন্তত ৫০টি বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। পুলিসকে আরও বেশি তৎপর হলে এই ঘটনা আটকাতে যেত। সেটা না করে পুলিস তৎপরতার সঙ্গে ঘটনা লুকানোর চেষ্টা করেছে। কোথাও কোথাও মানুষ আমাদের জানিয়েছে, থানার অফিসারকে ফোন করা হলেও তিনি সেখানে যাননি। এটা অত্যন্ত ভয়াবহ ব্যাপার। পুলিস হয়তো ভালো কাজ করেছে। তাই এভাবে সামাল দেওয়া গিয়েছে। কিন্তু, আরও ভালো কাজ করলে এই ঘটনা হয়তো ঘটত না। কিন্তু, কেন এমন হল, সেটা তদন্ত হওয়া দরকার। আমরা গোটা ঘটনার রিপোর্ট প্রমাণ সহ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে পাঠাব। আমরা মানুষের সঙ্গে কথা বলে খুব একটা খুশি নই। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে এলেও মানুষ আতঙ্কে আছে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, বেলডাঙার পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। প্রতিটি এলাকায় আমরা নজরদারি চালাচ্ছি। মানুষের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেই জন্য বেশ কিছু জায়গায় পুলিসি পাহারা রয়েছে।