কাজকর্মের ক্ষেত্রে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। ক্রীড়াবিদদের সাফল্য লাভের সম্ভাবনা। পারিবারিক ক্ষেত্রটি মোটামুটি থাকবে। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাত বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর কয়েক বছর ভালোই কাটছিল। কিন্তু ছন্দপতন হয় দু’টো কন্যাসন্তান জন্মানোর পর। শুরু হয় গৃহবধূর উপর মানসিক ও দৈহিক অত্যাচার। স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে দুই মেয়েকে নিয়ে বেশ কয়েকবার বাপের বাড়িতে চলে আসেন ওই গৃহবধূ। অভিযোগ, গৃহবধূর মা-বাবা মেয়ের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদ করলে তাঁদেরও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করত অভিযুক্ত স্বামী। গৃহবধূ বলেন, পর পর দুটো মেয়ে হওয়ার পর থেকেই আমার উপর মানসিক ও দৈহিক অত্যাচার শুরু হয়। প্রায় প্রতিদিন রাতে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে এসে মারধর এবং গালিগালাজ করত। প্রতিবাদ করলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিত। তা সত্ত্বেও দুটো মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে মুখ বুজে সব সহ্য করে থাকতাম। দেড় মাস আগে প্রচণ্ড মারধর করে, গলা টিপে ধরে। প্রতিবেশীরা ছুটে এসে বাঁচায়। ওই ঘটনার পরই বাপের বাড়িতে চলে যাই। পাঁচদিন আগে ফিরে আসি। কিন্তু ওইদিন থেকেই আবার মারধর শুরু করে। শুক্রবার রাতে অত্যাচার চরম সীমায় ওঠে। ঘর বন্ধ করে মারধর করা হয়। বুকে, পেটে কিল, ঘুসি ও লাথি মারে। চুল কেটে দেয়। আমি আমার স্বামীর চরম শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। গৃহবধূর মায়ের অভিযোগ, মাস তিনেক আগে মেয়ের মুখে অত্যাচারের খবর পেয়ে ছুটে গিয়েছিলাম। প্রতিবাদ করায় আমাকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমি জামাইয়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। ভগবানগোলা থানার এক পুলিস আধিকারিক বলেন, এখনও অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ হলে তদন্ত করে দেখা হবে। -নিজস্ব চিত্র