কাজকর্মের ক্ষেত্রে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। ক্রীড়াবিদদের সাফল্য লাভের সম্ভাবনা। পারিবারিক ক্ষেত্রটি মোটামুটি থাকবে। ... বিশদ
শান্তনু ভট্টাচার্য পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি নিজেকে ভারতীয় রেলদপ্তরের চিকিৎসক বলে দাবি করত। পাশাপাশি পিএমও দপ্তর ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে বলেও বিভিন্ন জাল নথিপত্র দেখাত সে। সেই সূত্র ধরেই প্রধানমন্ত্রী রোজগার যোজনা মেলার মধ্য দিয়ে রেল সহ বিভিন্ন কেন্দ্র সরকারি দপ্তরে চাকরি করে দেবে, এমন প্রতিশ্রুতি দিত। অভিযোগ, সরকারি দপ্তরে চাকরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে কয়েক কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, লাভপুরের এক বাসিন্দা মারফত শান্তনুর সঙ্গে যোগাযোগ হয় গৃহবধূ স্বস্তিকা সরকার সিনহার। তাঁকে চাকরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি এই প্রকল্পের জন্য আরও কিছু ক্যান্ডিডেট প্রয়োজন বলে জানান অভিযুক্ত। সেই মতো ধীরে ধীরে লাভপুর, নানুর, কীর্ণাহার, আমোদপুর, বোলপুর সহ আরও বেশ কিছু এলাকার কয়েকশো যুবক যুবতী চাকরির জন্য ফর্ম ফিলআপ করেন। সেই সময় প্রথম দফায় তাঁদের থেকে ফর্ম ফিলআপের জন্য ৫৬০০ টাকা করে নেওয়া হয়। পরে ধাপে ধাপে প্রত্যেকের থেকেই ১৮-২০ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, কাউকে গ্রুপ ডি, আবার কাউকে গ্রুপ সি’র চাকরিতে নিযুক্ত করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
এই প্রতারণা চক্র চালিয়ে গেলেও কেউই শান্তনু ভট্টাচার্যকে সন্দেহ করতে পারেননি। কারণ কেন্দ্র সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের নানান নথিপত্র, নিজের বিভিন্ন পরিচয় পত্র ও প্রধানমন্ত্রীর সাথে নানা ধরনের ছবি তিনি দেখান চাকরিপ্রার্থীদের। তাই সকলেই সরল বিশ্বাসে দফায় দফায় তার অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে থাকেন। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর স্বাক্ষর সহ ভারত সরকারের স্ট্যাম্প নকল করে রোজগার মেলার ভুয়ো আমন্ত্রণপত্র পর্যন্ত দেওয়া হয় যুবক-যুবতীদের। জানা গিয়েছে, গত বছর নভেম্বর মাসে প্রথম ফর্ম ফিলাআপের পর থেকে ধাপে ধাপে টাকা নেওয়া হয়। এমনকী গ্রেপ্তার হওয়ার তিনদিন আগেও সকলের থেকে অ্যাকাউন্টে টাকা নেয় শান্তনু। কিন্তু রোজগার যোজনা মেলায় কবে তাঁরা অংশ নেবেন, সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলেই যুবক-যুবতীদের অপেক্ষা করতে বলতেন অভিযুক্ত। সকলেই নিজের চাকরির আশায় দিন গুনছিলেন। কিন্তু তার মধ্যেই শুক্রবার সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হয় অভিযুক্ত শান্তনু ভট্টাচার্য। তারপর থেকেই প্রচণ্ড দুশ্চিন্তা ও আতঙ্কে রয়েছেন এলাকার কয়েকশো প্রতারিত যুবক-যুবতী।
প্রতারণার শিকার রাজকুমার পাল, বিক্রমাদিত্য সিনহা, শাশ্বতী সরকার সিনহা বলেন, আমাদের যে সমস্ত নথিপত্র দেখাত, তার থেকে আমরা বিষয়টি যে প্রতারণা, তা কোনওভাবেই বুঝতে পারিনি। আমরা সকলেই টাকা ফেরত চাই, তা না হলে আমাদের চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে হবে। সেইসঙ্গে দোষীর শাস্তি চাই আমরা।