ব্যবসা ও পেশায় ধনাগম ভাগ্য আজ অতি উত্তম। বেকারদের কর্ম লাভ হতে পারে। শরীর স্বাস্থ্য ... বিশদ
নদীয়া জেলাতে ২ হাজার ৬৩৮টি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। চলতি শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই কম্পোজিট ফান্ডের টাকা সেই স্কুলগুলিতে পৌঁছনোর কথা। যে সব প্রাথমিক স্কুলে ৫০ জন পর্যন্ত পড়ুয়া রয়েছে, সেই স্কুলগুলি বছরে সাড়ে ১২ হাজার টাকা পায়। ১০০ জন পর্যন্ত পড়ুয়া থাকা স্কুলগুলিকে বছরে ২৫ হাজার টাকা এবং ১০০ জনের বেশি পড়ুয়া থাকা স্কুলগুলিকে বছরে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
এদিকে, ডিসেম্বর মাস পড়তে চলল। অথচ, রাজ্যের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র কিংবা দেওয়ার ক্ষেত্রে চরম গড়িমসি করে যাচ্ছে। কবে কম্পোজিট ফাণ্ডের টাকা আসবে, তা নিয়ে সন্দীহান শিক্ষকমহল। একাংশের দাবি, রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে কেন্দ্র সরকারের মোটা অঙ্কের টাকা বকেয়া রয়েছে। যার প্রভাব পড়ছে স্কুল চালানোর কম্পোজিট ফান্ডে। রাজনৈতিক মহলের দাবি, কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের কারণেই শিক্ষাক্ষেত্রের প্রাথমিক স্তরে পঠন-পাঠনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
নদীয়া উত্তর তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষাসেলের সভাপতি কিংশুক দাস বলেন, ‘আমাদের রাজ্য সরকার শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্র বাংলায় শিক্ষার প্রসারে টাকা পাঠাতে ঢিলেমি করছে। কম্পোজিট ফান্ডের টাকার একটা অংশ কেন্দ্র সরকার দেয়। কিন্তু সেই টাকা পাঠানো হচ্ছে না। খুবই দুর্ভাগ্যজনক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সচেষ্ট রয়েছে। যাতে খুব শীঘ্রই স্কুলগুলোতে এই টাকা পৌঁছয়।’
অল বেঙ্গল প্রাইমারি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের নদীয়া জেলার সম্পাদিকা অর্চনা বিশ্বাস বলেন, ‘কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যৌথভাবে এই টাকা দেয়। কিন্তু স্কুলগুলি চালানোর ব্যাপারে কারও কোনও উৎসাহ নেই। কম্পোজিট ফান্ডের টাকা না আসা তার বড় উদাহরণ।’
নদীয়া উত্তর বিজেপির শিক্ষক সেলের কনভেনার অমিত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘সমগ্র শিক্ষা অভিযানের সঙ্গে রাজ্য সরকারের একটা চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে। তা স্বাক্ষরিত হলেই কম্পোজিট ফান্ডের টাকা আসবে। কিন্তু রাজ্য সরকার কেন সেই চুক্তি স্বাক্ষর করছে না? এর থেকেই রাজ্য সরকারের সদিচ্ছার বিষয়টা বোঝা যায়। তবে আমরা চাই এই জটিলতা কাটুক। কারণ গ্রামাঞ্চলের দিকে কম্পোজিট ফান্ডের টাকা না আসলে সমস্যায় পড়তে হয় স্কুলগুলিকে।’
কম্পোজিট ফান্ডে কেন্দ্র দেয় ৪০ শতাংশ এবং রাজ্য দেয় ৬০ শতাংশ টাকা। ওই টাকায় মূলত স্কুলগুলিতে চক-ডাস্টার, বিদ্যুতের বিল মেটানো সহ দৈনন্দিন স্কুল চালানোর খরচ বহন করা হয়। কিন্তু টাকা না আসার ফলে স্কুল চালানোই কঠিন হয়ে পড়েছে বলে মানছেন প্রধানশিক্ষকরা। বনগ্রাম প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক সব্যসাচী মুখোপাধ্যায় বলছিলেন, ‘কম্পোজিট ফান্ডের টাকা না আসার ফলে সামান্য চক-ডাস্টার কিনতে গিয়েও সমস্যা হচ্ছে। আমাদের মতো প্রত্যন্ত এলাকার অনেক স্কুল এই টাকার উপর নির্ভরশীল।’