ব্যবসা ও পেশায় ধনাগম ভাগ্য আজ অতি উত্তম। বেকারদের কর্ম লাভ হতে পারে। শরীর স্বাস্থ্য ... বিশদ
গাঁদা, গোলাপ, টগর, ক্যালেন্ডুলা, চন্দ্রমল্লিকা সহ বিভিন্ন ফুলের চারা বিভিন্ন জেলা থেকে শুরু করে পড়শি রাজ্যগুলিতেও সাপ্লাই যায় শীতের শুরুতেই। অল্প দামে এই সময়েই সবাই বাড়িতে টবে ফুলের চারা লাগান। এখন থেকেই নার্সারিগুলিতে তুমুল ব্যস্ততা বেড়েছে। এখন চারা বিক্রি করে পূর্বস্থলীর বহু বেকার যুবক মোটা টাকা আয় করছেন।
কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্বস্থলী-২ ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১০০ বিঘার কাছাকাছি জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফুল চাষ করেন এলাকার বাসিন্দারা। বিশেষ করে গাঁদা ফুল চাষই বেশি করেন তাঁরা। মেড়তলা, ঝাউডাঙা অঞ্চলের হালতুচড়া, পলাশপুলি প্রভৃতি এলাকায় বেশি ফুল চাষ হয়। গাঁদা, রজনীগন্ধা, গোলাপ সহ বিভিন্ন ধরনের ফুল চাষ হয়। তবে বিভিন্ন প্রজাতির গাঁদা ফুলের চাষ বেশি হয় এই এলাকায়। আর এখান থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ফুল নদীয়া জেলার বেথুয়াডহরি, কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন বাজার, ভিন রাজ্যেও সরবরাহ করে থাকেন চাষিরা। এখানকার প্রায় বেশিরভাগ বাসিন্দাই বিঘার পর বিঘা জমিতে ফুল চাষ করে থাকেন। শুধু তাই নয়, পূর্বস্থলীজুড়ে কয়েক হাজার বিঘা জমিতে প্রায় ২০০-র কাছাকাছি নার্সারি রয়েছে। নার্সারি শিল্পের উপরেই কয়েক হাজার মানুষ নির্ভরশীল হয়ে রয়েছেন। পূর্বস্থলীজুড়ে নার্সারি ছড়িয়ে রয়েছে। শীতের মরশুমে বেশি ফুলের চারা বিক্রি হয়। ফলের চারাও সারাবছরে চাহিদা থাকে ব্যাপক। পূর্বস্থলীর পলাশপুলি এলাকার নার্সারি মালিক শঙ্কর দত্ত বলেন, এবার আশা করছি ভালোই চারা বিক্রি হবে। এখন মরশুম শুরু হচ্ছে। ভালোই বিক্রি হচ্ছে। ভিন রাজ্যেও যাচ্ছে ফুলের চারা। তবে আরও কিছুদিন পরে বিক্রি আরও বাড়বে বলে আশা করছি। চারা বিক্রেতা বসির বিশ্বাস, মাখনলাল সাহা বলেন, আমরা শীতের এই মরশুমের দিকেই সারা বছর তাকিয়ে থাকি। গত বছরের থেকে এবার বেশি বিক্রি হচ্ছে।-নিজস্ব চিত্র