ব্যবসা ও পেশায় ধনাগম ভাগ্য আজ অতি উত্তম। বেকারদের কর্ম লাভ হতে পারে। শরীর স্বাস্থ্য ... বিশদ
এ ব্যাপারে এএসআইয়ের মনুমেন্ট কনজারভেশন অ্যাসিস্ট্যান্ট সন্দীপ সিংহ বলেন, দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী মন্দিরের গেট খোলার সময় সুর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত। সেজন্য রাতে মন্দিরে আলোর ব্যবস্থা নেই। বিষ্ণুপুর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় প্রায় ২২টি ঐতিহাসিক মন্দির ও সৌধ রয়েছে। মল্লরাজাদের তৈরি টেরাকোটার সুন্দর কারুকার্য দেখতে সারাবছরই বিষ্ণুপুরে পর্যটকদের আনাগোনা থাকে। শীতের মরশুমে পর্যটকের ঢল নামে। বিষ্ণুপুরের গাইডদের একাংশ বলেন, বিভিন্ন মন্দির ঘুরতে ঘুরতে অনেকেরই দেরি হয়ে যায়। অনেকে সন্ধ্যার পরেও মন্দির দেখতে বেরোন। কিন্তু মন্দিরে আলো না থাকায় তাঁরা তা দেখতে পান না। এনিয়ে পর্যটকরা তাঁদের আক্ষেপের কথা প্রায়ই বলেন। বিষয়টি আমরাও মন্দির কর্তৃপক্ষকে বারবার বলেছি। কিন্তু কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। কয়েকবছর আগে পর্যটকদের দাবি মেনে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার নির্দেশে তা খুলে নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গিয়ে দেখা গেল রাসমঞ্চ, শ্যামরাই, জোড়বাংলো, নন্দলাল সহ সবকটি ঐতিহাসিক মন্দির অন্ধকারে ডুবে রয়েছে। এদিন সন্ধ্যায় টোটোয় করে কয়েকজন পর্যটক মন্দির প্রাঙ্গণে আসেন। কিন্তু ভালোভাবে দেখতে না পেয়ে ফিরে যান। যাওয়ার সময় কলকাতার ঢাকুরিয়ার বাসিন্দা উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, জয়রামবাটি, কামারপুকুর ঘুরে বিষ্ণুপুরে আসতে আমাদের সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে। ভাবলাম হোটেলের কাছাকাছি রাসমঞ্চ রয়েছে, তা দেখেই হোটেলে ফিরব। কিন্তু এসে দেখি অন্ধকারে ডুবে রয়েছে। কিছুই দেখতে পেলাম না।