ব্যবসা ও পেশায় ধনাগম ভাগ্য আজ অতি উত্তম। বেকারদের কর্ম লাভ হতে পারে। শরীর স্বাস্থ্য ... বিশদ
বোলপুরের ৪ নম্বরের ওয়ার্ডে শ্রীনিকেতন বাজারে তৃণমূলের একটি কার্যালয় রয়েছে। অভিযোগ, দু’মাস আগে সেই কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর তা বন্ধ করে রাখার অভিযোগ ওঠে বোলপুর পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার সঙ্গীতা দাসের স্বামী বাবু দাসের বিরুদ্ধে। কার্যালয়ে তৃণমূলের দেওয়াল লিখন মুছে দেওয়া হয়। অনুব্রত মণ্ডলের ছবি সরিয়ে দেওয়া হয়। তার প্রতিবাদে এদিন একদল তৃণমূল কর্মী-সমর্থক বন্ধ হয়ে থাকা কার্যালয়ের সামনে এসে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান। কার্যালয়ের তালা ভেঙে তার দখল নেওয়া হয়। এই তৃণমূল সমর্থকদের সঙ্গে বচসা বাধে বাড়ির মালিকের। খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছয় পুলিস। বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে আসেন তৃণমূল নেতা বাবু দাস। কার্যালয় বন্ধ করে রাখা বা দখল করার দাবি কার্যত উড়িয়ে দিয়ে নিজের অনুগামীদের নিয়ে সেই পার্টি অফিসে তিনি প্রবেশ করেন। তাঁর দাবি, কার্যালয়ের সামনে নর্দমা নির্মাণের কাজ চলছে। সেই সঙ্গে কার্যালয়ে নতুন করে রং করা হচ্ছে। সেই কারণেই কিছুদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি যারা তৃণমূল কর্মী দাবি করে কার্যালয় দখল করতে এসেছিল, তাদের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন।
বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী ইনসান মল্লিক বলেন, ১৫ বছর ধরে এখানে তৃণমূল কার্যালয় রয়েছে। অনুব্রত মণ্ডল সহ সকলের ছবি ছিল। কিন্তু, বাবু দাসের লোকজন তা সরিয়ে ঘর ভাড়া দিতে চাইছে। ওরা তৃণমূলের পার্টি অফিস রাখতে চাইছে না। পতাকা ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছে।
রূপপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূলের পর্যবেক্ষক বাবু দাস বলেন, আমাদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। এই কার্যালয়টি ৪ নম্বর ওয়ার্ডে হলেও তা রূপপুর পঞ্চায়েতের কাজকর্ম করার জন্য খোলা হয়েছিল। সংস্কারের জন্য বন্ধ রয়েছে। অন্য কোনও কারণ নেই। কেউ কেউ অশান্তি করার চেষ্টা করছে। বীরভূম জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।