ব্যবসা ও পেশায় ধনাগম ভাগ্য আজ অতি উত্তম। বেকারদের কর্ম লাভ হতে পারে। শরীর স্বাস্থ্য ... বিশদ
রামপুরহাট মহকুমার ময়ূরেশ্বর, মল্লারপুর, মাড়গ্রাম, রামপুরহাট, তারাপীঠ, নলহাটি, মুরারই, পাইকর থানার অধীনে কয়েকশো গ্রাম। ওইসব অঞ্চলে কোথাও আগুন লাগলে ভরসা বলতে একমাত্র রামপুরহাটের অগ্নি নির্বাপণ কেন্দ্র। কিন্তু সেখান থেকে দমকলের গাড়ি পৌঁছনোর আগেই সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। দমকল সূত্রে খবর, রামপুরহাট থেকে মুরারইয়ের ঝাড়খণ্ড সীমানা পর্যন্ত দূরত্ব প্রায় ৪০ কিমি। এদিকে ময়ূরেশ্বরের মুর্শিদাবাদ সীমানা পর্যন্ত প্রায় ৩৫ কিমি। রামপুরহাট থেকে রানিগঞ্জ মোড়গ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে সেই দূরবর্তী গ্রামে কোথাও আগুন লাগলে যেতে হয়। এমনিতেই দূরে, তার উপরে সড়কে অধিকাংশ সময় যানজট থাকার কারণে নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছনোর আগেই সব পুড়ে যায়। দেরিতে পৌঁছনোর জন্য এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখেও পড়তে হয়। এক দমকল কর্মী জানান, দূরত্বের কারণেই ক্ষতি এড়ানো যায় না। ফলে তারাপীঠ, নলহাটি ও মুরারইয়ে ফায়ার স্টেশন করার জন্য দমকলমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। যদিও তারাপীঠে এখনও স্থায়ী কেন্দ্র গড়ে তোলার জায়গা চিহ্নিত না হওয়ায় তীর্থভূমির গুরুত্ব উপলব্ধি করে সেখানে অস্থায়ীভাবে দমকলের একটি গাড়ি রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নলহাটিতে প্রথমে কিষাণ মাণ্ডি চত্বরে দমকল কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য ঠিক হয়। কিন্তু জায়গাটি এগ্রিকালচার ডিপার্টমেন্টের হওয়ায় টেকনিক্যাল সমস্যা দেখা দেয়। ফলে বিকল্প জায়গার খোঁজ শুরু হয়। অবশেষে সিএডিসি মোড়ে দেড় বিঘা সরকারি খাস জায়গার উপর দমকল কেন্দ্র গড়ে তোলার বিষয়টি স্থির হয়েছে।
এলাকার বিধায়ক রাজেন্দ্রপ্রসাদ সিং বলেন, এই নিয়ে দমকলমন্ত্রীর সঙ্গে একাধিকবার কথা হয়েছে। এতদিন জায়গার সমস্যা ছিল। সেটা মিটেছে। আশা করি খুব শীঘ্রই দমকল কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ শুরু হবে।
এদিকে দীর্ঘদিনের চাহিদা পূরণ হতে চলায় খুশি এলাকার মানুষ। তাঁরা বলেন, নলহাটিতে দমকল কেন্দ্রে হলে তার সুবিধা শহর ছাড়াও পাবে নলহাটি ১ ও ২ মুরারই ১ ও ২ ব্লক এবং রামপুরহাট ২ ব্লকের একটা অংশের মানুষ। ক্ষয়ক্ষতি অনেকটা এড়ানো সম্ভব হবে।