ব্যবসা ও পেশায় ধনাগম ভাগ্য আজ অতি উত্তম। বেকারদের কর্ম লাভ হতে পারে। শরীর স্বাস্থ্য ... বিশদ
১৭ নভেম্বর থেকে মুর্শিদাবাদে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। নেট পেতে যুবসমাজ জেলার সীমান্ত এলাকায় ছুটছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার সীমান্তে নেটিজেনদের মেলা বসছে। ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যা থেকে প্রশাসন নির্দেশিকা জারি করে বহরমপুর মহকুমার সমস্ত মদের দোকান বন্ধ করে দিয়েছে। ওইদিন থেকেই কার্যত সুরাপ্রেমীরা বেকায়দায় পড়েছেন। আর সেই সুযোগে মদের কালোবাজারি করে মুঠোমুঠো টাকা লুটছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী।
সন্ধ্যা নামলেই শুরু হয়ে যাচ্ছে গোপনে মদ বিক্রির রমরমা। ফিক্সড দামের দোকানের মতো মদের দাম বাঁধা রয়েছে। কোথাও দেড়গুণ, কোথাও দাম উঠছে দু’গুণ। ঠিকানা সংগ্রহ করে সেখানেই হাজির হচ্ছেন মাদকাসক্তরা। আবার দামের হিসেব করে মদ্যপায়ীদের একাংশ ছুটছে কান্দি, লালবাগ মহকুমার দিকে। বেলডাঙা, রেজিনগরের মানুষ ছুটছেন পলাশীর প্রান্তরে। ভরতপুর ব্লক থেকে শক্তিপুরে দেদার মদ ঢুকছে। আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বহরমপুরে দেদার মদ ঢুকলেও পুলিস এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি। বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরোর প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, বহরমপুরে মদের দোকান বন্ধ করার নির্দেশিকার সঙ্গেই বলা হয়েছে বাইরে থেকে বহরমপুর মহকুমা এলাকায় মদ ঢোকানো বেআইনি। অথচ রমরমিয়ে চলছে কালোবাজারি। বুধবার কান্দি থানার গোকর্ণ থেকে বেশ কয়েক বোতল মদ কিনে এনেছে বহরমপুরের এক বাসিন্দা। ওই বাসিন্দা বলেন, বিক্রির জন্য নয়, কবে খোলাবাজারে মদ পাব কি না জানি না। তাই আপাতত দু’তিন দিনের জন্য কিনে এনেছি। রাস্তায় কেউ ধরেনি বা জিজ্ঞাসাও করেনি। বিনা রসিদে এভাবেই দেদার মদ ঢুকছে বহরমপুরে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, বহরমপুরে ভৈরবের বিসর্জন আগামী রবিবার। আপাতত ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত মদের দোকান বন্ধ থাকছে। তবে সময়সীমা বাড়তেও পারে।