ব্যবসায়িক কাজকর্ম ভালো হবে। ব্যবসার প্রসারযোগও বিদ্যমান। উচ্চশিক্ষায় সন্তানের বিদেশ গমনের সুযোগ আসতে পারে। গৃহশান্তি ... বিশদ
মন্দির কমিটি জানিয়েছে, সাধারণ মানুষের সাহায্য নিয়েই এই মহাভোগ প্রসাদের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বহু মানুষ মন্দিরের দান বাক্সে নিজেদের সাধ্যমতো সাহায্য করেছেন। বছরের অন্যান্য সময়ে প্রতিদিন দুপুরে মন্দিরে ভোগপ্রসাদের ব্যবস্থা থাকে। মন্দিরের প্রসাদ পার্সেল করেও বহু মানুষ বাড়ি নিয়ে যান। এক সপ্তাহ ধরে চলা রাস উৎসবে গ্রামীণ লোকসংস্কৃতির নানাদিক তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন উদ্যোক্তারা। রাস উৎসবের মধ্য দিয়ে কুমারচকের বাসিন্দরা তাঁদের হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ সংস্কৃতি নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরেন।
এই রাস উৎসব ও মেলা হলদিয়া শিল্পশহরের উদ্বাস্তুদের মিলনের আঙ্গিনা হয়ে উঠেছে। উৎসব কমিটির সম্পাদক চন্দন দাস বলেন, এবছর ১২ হাজারের বেশি মানুষ মহাভোগ প্রসাদ পেয়েছেন।
এই রাস উৎসবের তৃতীয় বর্ষে লক্ষাধিক মানুষের ভিড় হয়েছে। মন্দির কমিটির সভাপতি শত্রুজিৎ দাস, যুগ্ম সম্পাদক উত্তম দাসঅধিকারী এবং রবীন্দ্রনাথ দাসঅধিকারী বলেন, হলদিয়া শহরে রাস উৎসবের নতুন ধারা তৈরি করতে চাইছি। হারিয়ে যাওয়া রীতিনীতির সঙ্গে আজকের সংস্কৃতির মেলবন্ধন করতে চাই। মন্দির চত্বরে বছরে বড় অনুষ্ঠান ছাড়াও প্রতিদিন বহু ভক্ত ও দর্শনার্থীর সমাগম হয়। এজন্য ওই এলাকায় সৌন্দর্যায়নের জন্য পার্ক তৈরির আবেদন জানিয়েছে মন্দির কমিটি। পাশাপাশি মন্দির চত্বরে বাড়তি হাইমাস্ট আলোর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এছাড়াও মন্দির কমিটি হলদিয়া উন্নয়ন সংস্থার কাছে পাশের বিশাল পুকুরে একটি পাকা ঘাট তৈরির জন্য আবেদন জানিয়েছে। একই সঙ্গে পুকুরপাড় বাঁধানোরও দাবি জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, স্থানীয় রাধামাধবচকের উদ্বাস্তুরা গ্রামের স্মৃতি জাগিয়ে রাখতে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা খরচে রাধাকৃষ্ণ মন্দির তৈরি করেছেন। সেই রাধাকৃষ্ণ মন্দির ঘিরে শুরু হয়েছে রাস উৎসব। মন্দির কমিটির যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ মোহন দাস ও শ্যামপদ ভুঁইয়া বলেন, এবছর রাস উৎসবের বাজেট ছিল প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা।-নিজস্ব চিত্র