ব্যবসায়িক কাজকর্ম ভালো হবে। ব্যবসার প্রসারযোগও বিদ্যমান। উচ্চশিক্ষায় সন্তানের বিদেশ গমনের সুযোগ আসতে পারে। গৃহশান্তি ... বিশদ
উল্লেখ্য, গতবছর অক্টোবর মাসে ডুমরা প্রাইমারি স্কুলে প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেন রাখিদেবী। তিনি স্কুলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই মিড ডে মিলের মান অনেক খারাপ হয়ে যায় বলে অভিভাবকদের দাবি। ছাত্রছাত্রীরা ওই মিড ডে মিল খেতে চায় না বলে তাঁরা জানান। এক বছর আগেও স্কুলে মাঝেমধ্যে ডিম হতো। কিন্তু, গত এক বছরে মিড ডে মিল থেকে ডিম প্রায় হারিয়ে গিয়েছিল। এরমধ্যেই প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ছাত্রছাত্রীর হাজিরার সংখ্যায় কারচুপি করে মেসেজ পাঠানোর অভিযোগ ওঠে। গত ৫ নভেম্বর এনিয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) নেহা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ জমা পড়ে। ৬ তারিখ পিএম পোষণের ডিস্ট্রিক্ট অফিসার সৌরভ মিত্র স্কুল পরিদর্শন করেন। প্রধান শিক্ষিকাকে ডিএম অফিসে তলব করা হয়। তাঁকে শোকজ করা হয়।
উপস্থিত পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়িয়ে দেখিয়ে মিড ডে মিল সেকশনে মেসেজ পাঠানোর ঘটনা ‘বর্তমান’ সংবাদপত্রে প্রকাশ হতেই এলাকায় হইচই পড়ে যায়। ৮ নভেম্বর প্রধান শিক্ষিকা স্কুলে ঢুকতে গিয়ে বাধা পান। তারপর থেকেই স্কুলে যেতে পারছেন না। স্থানীয় বাসিন্দারা এবং অভিভাবকরা তাঁর বিরুদ্ধে এককাট্টা। তাঁর বিরুদ্ধে স্কুলগেটে লালকালি দিয়ে লেখা পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অচলাবস্থা কাটাতে বুধবার দুপুরে স্কুলে মিটিং ডাকা হয়। বেলা ২টার আগেই স্কুল ছুটি দেওয়া হয়। তারপরই মিটিং হয়। সেখানেই ব্যাপক হট্টগোলে মিটিং ভেস্তে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা মধুসূদন বেরা, বিমল মাইতি বলেন, প্রধান শিক্ষিকা খুদে পড়ুয়াদের খাবারের টাকা নয়ছয় করছেন। তাঁর কাছ থেকে ওই পড়ুয়ারা কী শিখবে? আমরা চাই, ওই প্রধান শিক্ষিকাকে অন্যত্র বদলি করা হোক। এক অভিভাবিকা পাপিয়া মাইতি বলেন, গত অক্টোবর মাসে প্রধান শিক্ষিকা জয়েন করার পর থেকেই খাবারের মান খারাপ হয়েছে। তারমধ্যে আমরা জানতে পারি, উপস্থিত পড়ুয়ার সংখ্যা বেশি দেখিয়ে কারচুপি হচ্ছে। এটা জঘন্য অপরাধ।ভিলেজ এডুকেশন কমিটির সভাপতি তথা স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য অর্ধেন্দুশেখর মাইতি বলেন, আমি ৩০ বছর এখানে ভিইসি কমিটির সভাপতি রয়েছি। কোনওদিন এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। আমার অগোচরে সবটাই হয়েছে। মিড ডে মিল নিয়ে মাঝেমধ্যে ভিজিট করলে এমনটা হতো না। এটা আমার অক্ষমতা।-নিজস্ব চিত্র