ব্যবসায়িক কাজকর্ম ভালো হবে। ব্যবসার প্রসারযোগও বিদ্যমান। উচ্চশিক্ষায় সন্তানের বিদেশ গমনের সুযোগ আসতে পারে। গৃহশান্তি ... বিশদ
রাজ্যে গঙ্গা, খাল ও জলাশয়গুলি দূষণমুক্ত রাখতে নিরঞ্জনের সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিমার কাঠামো তুলে নেওয়ার কথা। কিন্তু, শান্তিপুরের যে কোনও প্রতিমা নিরঞ্জনের পর কাঠামো তুলে ফেলতে পুরসভার গড়িমসি বেশ ধারাবাহিক। রাসের শোভাযাত্রা হয়েছে রবিবার। বুধবারও বিভিন্ন খাল ও জলাশয়ের ঘাটে অগণিত প্রতিমার কাঠামো ভাসতে দেখা গিয়েছে। দুর্গাপুজো ও কালীপুজোর পরেও ঠিক যেমন ছবি ছিল, রাসের পর মতিগঞ্জ ঘাট, বড়বাজার ঘাট সহ একাধিক জলাশয় সংলগ্ন ঘাটগুলির অবস্থা সেই অবস্থাতেই ফিরে এসেছে। দূষণের এই করুণ ছবি দেখা পর ক্ষুব্ধ পরিবেশ কর্মীরা।
সমাজ ও পরিবেশ সচেতন মানুষের বক্তব্য, স্থানীয় প্রশাসনের এই ধরনের হেলদোলহীন অবস্থান কেবল অসচেতনতাই নয়, এক প্রকার ‘অপরাধ’ বলেই গণ্য হওয়া উচিত। শান্তিপুরের মোটামুটি তিন-চারটি ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন হয়। দুর্গা ও কালীপুজোর মতো রাসেও প্রচুর প্রতিমা হয় শান্তিপুরজুড়ে। তাই আপাতত নিরঞ্জন হওয়া প্রতিমা না তোলায় মতিগঞ্জ ঘাট, বড় বাজার ঘাট এবং কৃষ্ণকালিতলা ঘাটে সবই ভাসছে। পরিবেশপ্রেমীদের একাংশের দাবি, এটা নতুন নয়, যে কোনও পুজোর বিসর্জনের পরেই দিনের পর দিন কাঠামো পড়ে থাকার পর পুরসভার হুঁশ ফেরে। নিরঞ্জনের সঙ্গে সঙ্গে তুলে ফেলার প্রবণতা চোখে পড়ে না।
যদিও এই অভিযোগ মানতে চাইছে না পুরসভা। পুরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ বলেন, যথেষ্ট সক্রিয়তার সঙ্গে প্রতিমা নিরঞ্জনের পর খাল ও জলাশয়গুলি থেকে কাঠামো তুলে ফেলা হয়। নির্দিষ্ট সময়ের পরে যাঁরা ভাসান দেন, সেই রকমই হাতেগোনা কয়েকটি কাঠামো পড়ে থাকে।
তবে আমরা দ্রুত সেগুলি সরিয়ে ফেলব। -নিজস্ব চিত্র