ব্যবসায়িক কাজকর্ম ভালো হবে। ব্যবসার প্রসারযোগও বিদ্যমান। উচ্চশিক্ষায় সন্তানের বিদেশ গমনের সুযোগ আসতে পারে। গৃহশান্তি ... বিশদ
কার্তিক পুজো সমন্বয় কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভার ১৫টি ওয়ার্ডে বিভিন্ন পাড়ায় শতাধিক কার্তিক পুজো হয়। তার মধ্যে প্রায় ১৯টি সর্বজনীন কার্তিকপুজো বাজেটের দিক দিয়ে দুর্গাপুজোর সঙ্গে টক্কর দেয়। দেব সেনাপতির উচ্চতাতেও চমক দেখা যায়। কালী ও কার্তিকের শহর নামে পরিচিত সোনামুখীর নাগরিকরা দুই পুজোর জন্য সারাবছর অপেক্ষা করেন। শহরের বিগ বাজেটের কার্তিক পুজোর মধ্যে অন্যতম মাইতো কার্তিক, বড় কার্তিক, মহিষগোঠ, গুঁইপাড়া, বকুলতলা, লালবাজার, নীলবাড়ি, লোহারপাড়া, রুদ্রপাড়া, পালপাড়া, নিমতলা, ঘুরুনি, শিকা, ডেঙো, শিশু, নবযুবক, থাণ্ডার, কদমতলা, বটতলা, তেমাথা কার্তিক প্রভৃতি।
সোনামুখী পুরসভার চেয়ারম্যান সন্তোষ মুখোপাধ্যায় বলেন, সোনামুখী শহরে কার্তিক ঠাকুরের বিসর্জনের শোভাযাত্রা খুবই জাঁকজমকপূর্ণভাবে হয়। সোনামুখী শহর ছাড়াও পার্শ্ববর্তী আমচূড়া, পাঁচাল, বলরামপুর, পাথরমোড়া, মহেশপুর, রামপুর, ধুলাই, নফরডাঙা প্রভৃতি গ্রামের বাসিন্দারা শোভাযাত্রা দেখতে আসেন। সন্ধ্যার পর প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। সেই জন্য এদিন শহরের প্রধান রাস্তাগুলিতে কার্যত জনজোয়ার সৃষ্টি হয়। অধিক ভিড় সামলাতে পুলিস ও প্রশাসনের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। প্রতিমা নিরঞ্জনের পর জলাশয় থেকে দ্রুত কাঠামো তুলে ফেলা হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিকেল থেকেই পাড়ায় পাড়ায় শোভাযাত্রা শুরু হয়। তবে সন্ধ্যার পর থেকে শহরের মেন রাস্তায় শোভাযাত্রাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুজো উদ্যোক্তারা প্রতিযোগিতায় নামেন। হরেক রকম বাদ্যযন্ত্র ও আলোকমালা সাজিয়ে শোভাযাত্রা শুরু হয়। রথতলা থেকে চৌরাস্তা পর্যন্ত রাস্তায় পর পর বিসর্জনের শোভাযাত্রা অতিক্রম করে। মোট ১৯টি প্রতিমা পর পর চৌরাস্তা অতিক্রম করে। তারপর নিজের নিজের পাড়ায় ফিরে যায়। বিসর্জনের শোভাযাত্রা শেষ হতে রাত গড়িয়ে ভোর হয়ে যায়। আজ বৃহস্পতিবার দশেরপুকুর, কেওটপুকুর, কুলুপুকুর, শালি নদী, পাটারপুকুর, রানিরবাঁধ, সায়েরপুকুর প্রভৃতি জলাশয়ে প্রতিমা নিরঞ্জন করা হবে।