ব্যবসায়িক কাজকর্ম ভালো হবে। ব্যবসার প্রসারযোগও বিদ্যমান। উচ্চশিক্ষায় সন্তানের বিদেশ গমনের সুযোগ আসতে পারে। গৃহশান্তি ... বিশদ
উল্লেখ্য, আগে চাষিরা ফসলের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হতো। পরে সরকার ধান, পাট সহ একাধিক ফসলের ন্যূনতম সহায়কমূল্য (এমএসপি) চালু করে। ওই সহায়কমূল্যে যাতে চাষিরা তাঁদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতে পারেন, তা সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরকে নিশ্চিত করতে হয়। এরাজ্যে সরকার সরাসরি চাষিদের কাছ থেকে ধান কিনে থাকে। এবছর আমন ধানের কুইন্টাল প্রতি ২৩০০ টাকা দাম ধার্য হয়। চাষিরা কিষান মান্ডি তথা স্থায়ী সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্রে তা পৌঁছে দিলে কুইন্টালে অতিরিক্ত ২০টাকা উৎসাহ ভাতা দেওয়া হচ্ছে। তাই এবার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।জেলা খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ায় এবার মোট ৪১টি ধান ক্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তারমধ্যে ৩৪টি স্থায়ী এবং সাতটি ভ্রাম্যমাণ ধান ক্রয় কেন্দ্র রয়েছে। গতবার ২৯টি স্থায়ী ও তিনটি ভ্রাম্যমাণ মিলিয়ে জেলায় মোট ৩২টি ধান ক্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছিল। বেশি ধান উৎপাদন হয় এমন ব্লকে রাজ্য সরকার কিষান মান্ডি নির্মাণ করেছিল। প্রথম দিকে অবস্থানজনিত কারণে অনেকেই মান্ডিমুখী হয়নি। তবে ধীরে ধীরে মান্ডিগুলি জনপ্রিয় হচ্ছে বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন। ফলে সেখানে ধান কেনার শিবির করা হচ্ছে। জেলা খাদ্য দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, গতবার খোলাবাজারে দাম বেশি হওয়ার কারণে চাষিরা সরকারকে ধান বিক্রি করেননি। তাছাড়া মাথা পিছু ধান সংগ্রহের একটা সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ফলে চাষিরা উৎপাদিত ফসলের পুরোটা একলপ্তে খাদ্যদপ্তরকে দিতে পারেন না। চলতি মরশুম থেকে সব বিঘ্ন কাটিয়ে ওঠা যাবে বলে আমরা আশা করছি।