ব্যবসায়িক কাজকর্ম ভালো হবে। ব্যবসার প্রসারযোগও বিদ্যমান। উচ্চশিক্ষায় সন্তানের বিদেশ গমনের সুযোগ আসতে পারে। গৃহশান্তি ... বিশদ
গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহকারী এজেন্সিগুলির দাবি, দু’টি সিলিন্ডার বুকিংয়ের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের প্রথম পছন্দ অনলাইন প্রক্রিয়া। বিভিন্ন অ্যাপে কনজিউমার আইডি দিলে নিমেষে বুক করা যায় গ্যাস সিলিন্ডার।
এরপরে ওই বুকিংয়ের ভিত্তিতে এজেন্সিগুলি নির্দিষ্ট জায়গায় গ্যাস ডেলিভারি দেয়। গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডার ডেলিভারি দেওয়ার পর ওটিপি সাবমিট করার পর শেষ হয় পুরো প্রক্রিয়া। তা আপডেট হয় এজেন্সি সার্ভারে। কিন্তু ইন্টারনেট না থাকায় আপাতত ওই প্রক্রিয়া পুরোপুরি থমকে গিয়েছে। ইন্টারনেট না থাকায় অনলাইনে সিলিন্ডার বুক করতে পারছেন না গ্রাহকরা। এমনকি এজেন্সির আউটলেটেও গ্যাস বুকিং করা যাচ্ছে না। শুধুমাত্র আইভিআর অর্থাৎ কলের মাধ্যমেই সিলিন্ডার বুক করতে পারছেন। তবে সেক্ষেত্রে গ্রাহকরা বুকিং করতে পারলেও এজেন্সিগুলি পড়ছে ফ্যাসাদে। কারণ ডেলিভারি দেওয়ার পরে ওই ওটিপি আপডেট করতে হয় তাঁদের সার্ভারে। কিন্তু ইন্টারনেট না থাকায় তা করা যাচ্ছে না।
ডোমকল মহকুমার একটি গ্যাস এজেন্সির সঙ্গে কথা বলে যা জানা গেল, তাঁদের এজেন্সি থেকে প্রতিদিন গড়পরতা ৩৫০টি সিলিন্ডার বিলি করা হয়ে থাকে। তবে একটানা ইন্টারনেটের সমস্যায় তা কমে ঠেকেছে নব্বইয়ের ঘরে। রানিনগরের একটি গ্যাস এজেন্সির মালিক গোলাম নুরুজ্জামান বলেন, ইন্টারনেটের এই সমস্যার জেরে আমরা ব্যাপকভাবে আমরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি।
এইভাবে একটানা ইন্টারনেট বন্ধ থাকলে আগামী দিনে গ্যাস ডেলিভারি বন্ধ করে দিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়ছে স্কুলগুলি।
মিড ডে মিলের জন্য আমরা তাঁদের গ্যাস ডেলিভারি করছি পুরোপুরি ম্যানুয়ালভাবে। পরিস্থিতি এরকম থাকলে সেটাও বন্ধ করে দিতে হবে। সাগরপাড়ার স্কুল শিক্ষক ইব্রাহিম শেখ বলেন, আপাতত আমাদের কাছে কয়েকটি সিলিন্ডার মজুত থাকায় এখনও সমস্যা হয়নি। তবে দিন কয়েক এইভাবে চললে মিড ডে মিল চালাতে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হবে।