ব্যবসায়িক কাজকর্ম ভালো হবে। ব্যবসার প্রসারযোগও বিদ্যমান। উচ্চশিক্ষায় সন্তানের বিদেশ গমনের সুযোগ আসতে পারে। গৃহশান্তি ... বিশদ
জামুড়িয়ার বিএলএলআরও সত্যজিৎ বিশ্বাস বলেন, নদীগর্ভ থেকে কোনওভাবেই মেশিন দিয়ে বালি তোলা যায় না। তা সম্পূর্ণ অবৈধ। জামুড়িয়ার চুরুলিয়া পঞ্চায়েত এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। একাধিক বালির গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
বুধবার রানিগঞ্জ থানার তিরাট এলাকায় বালির কারবার নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। বাসিন্দারা একত্রিত হয়ে অভিযোগ করেন, নদী থেকে মেশিনে বালি তোলা যায় না। হ্যান্ডলোডিং করলে অনেক মানুষ কাজ পেতেন। তা করা হচ্ছে না। জয়দীপ পাল বলেন, এক জায়গায় বালি তোলার অনুমতি রয়েছে। কিন্তু অন্য জায়গায় বালি তোলা হচ্ছে। মেশিন দিয়ে বালি তোলার জন্য বিশাল গর্ত তৈরি হচ্ছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, মহিলা সহ গ্রামের লোকজন যে সব ঘাটে স্নান করেন, সেখানেই মেশিন দিয়ে বালি তুলে নেওয়া হচ্ছে। যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটবে। বাসিন্দাদের তীব্র বিক্ষোভের জেরে নদী থেকে বালির মেশিন তুলে নেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, এই বালি ব্লকটি ইসিএলের হলেও গাড়ি পরিবহণ করা লরিতে ইসিএলের কোনও স্টিকার নেই। বাসিন্দাদের অনেকে অভিযোগ করেন, অবৈধভাবে অন্য কেউ বালি তুলে নিচ্ছে।
বালি লুটের সবচেয়ে বড় কারবার চলছে জামুড়িয়ায় চুরুলিয়ায়। অজয় নদের বীরকুন্টি, দেশেরমোহন, তালডাঙার চিচুড়বিল, দরবারডাঙা ঘাট থেকে দেদার বালি তোলা হচ্ছে। দিনরাত নদীগর্ভে একসঙ্গে বহু মেশিন নামিয়ে ১৬-১৮ চাকা লরিতে লোড করা হচ্ছে। গ্রামের রাস্তা ভেঙে ওভারলোডেড বালিবোঝাই লরি একের পর এক চলে যাচ্ছে। জামুড়িয়ার বিএলএলআরওর কাছে লিখিত অভিযোগ করে বাসিন্দাদের একাংশ। অভিযোগ পেয়ে বুধবার প্রশাসনিক কর্তারা অভিযান চালান। কয়েকটি বালির লরি আটক হয়। জামুড়িয়া ব্লকেরই শাঁখিড় গ্রামে সরকারি খাসজমি দখল করা হচ্ছে বলে বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে।