পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারার প্রচেষ্টায় সাফল্য পাবেন। ব্যবসায় লগ্নি বৃদ্ধির সম্ভাবনা । শরীর একপ্রকার থাকবে। ... বিশদ
উল্লেখ্য, নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলনে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন অশোক করণ, দেবাশিস দাসের মতো বিজেপি নেতারা। ২০০৮ সাল থেকেই তাঁরা ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে করপল্লিতে ১০ নভেম্বর শ্রদ্ধা জানান। এবছর সকালে দলের কর্মসূচিতে তাঁরা ডাক পাননি। কিন্তু, এই দিনে শহিদ আন্দোলনকারীদের প্রতি শ্রদ্ধা না জানিয়ে তাঁরা ঘরেও বসে থাকতে পারেননি। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর অশোক করন, দেবাশিস দাসের মতো নেতারা করপল্লিতে ওই শহিদ বেদিতে আসেন। সেখানে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
বিজেপি পরিচালিত গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে ৫০ লক্ষ টাকার দুর্নীতি সামনে এসেছে। সেই ঘটনা প্রকাশ্যে এনেছেন দলেরই বিজেপিরই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। তাঁদের পাশে থেকেছেন অশোক করণ, দেবাশিস দাসরা। তাই ওই নেতাদের উপর পার্টির গোঁসা বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের ছাড়াই গোকুলনগরে করপল্লিতে বিজেপির পক্ষ থেকে শহিদস্মরণ সভা হয়। দলের ডাক না পেলেও বিক্ষুব্ধ ওই বিজেপি নেতাদের কোনও আফশোস নেই। শহিদ বেদির সামনে দাঁড়িয়ে দেবাশিস দাস বলেন, ২০০৭ সালে ঐতিহাসিক জমি আন্দোলনে সরাসরি যুক্ত ছিলাম। ২০০৮ সালে ১০ নভেম্বর আমি এখানকার আরেকজনকে নিয়ে করপল্লিতে শহিদ বেদি বানিয়ে প্রথম শহিদ দিবস পালন করি। পরবর্তীকালে শহিদস্মরণ অনুষ্ঠান ভাগ হয়ে যায়। তৃণমূল ও বিজেপি আলাদা করে কর্মসূচি নেওয়া শুরু করে। আমি একটা পার্টি করি। সেই দল থেকে আজ ডাক পাইনি। কিন্তু সেজন্য বাড়িতে বসে থাকিনি। নৈতিক দায়দায়িত্ব থেকেই শহিদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছি। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক মেঘনাদ পাল বলেন, অশোক করণ, দেবাশিসবাবুরা দলের সঙ্গেই আছেন। আঞ্চলিক কোনও সমস্যা নিয়ে মতবিরোধ হতে পারে। তবে, ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির কনভেনার স্বদেশ দাস অধিকারী ওই কর্মসূচির দায়িত্বে ছিলেন। অশোক করণ কিংবা দেবাশিস দাসদের ডাকা হয়েছিল কিনা সেটা স্বদেশবাবুর থেকে জানা হবে।
এদিন সকাল ১০টা থেকে তৃণমূল নেতৃত্ব শহিদ বেদিতে মাল্যদান করে। ওই কর্মসূচিতে দলের জেলা সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়, মহিষাদলের বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী, ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।