প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ লোকোত্তরানন্দজি মহারাজ বলেন, এখানে ধুমধাম করেই কালীপুজোর আয়োজন করা হয়। এবারও হচ্ছে। বহু ভক্ত বাইরে থেকে এসেছেন। তার সঙ্গে কামারপুকুর গ্রামের বাসিন্দারাও পুজোতে শামিল হয়েছেন। ভিড় হয় প্রচুর। পুলিস, প্রশাসন ও দমকল কর্তৃপক্ষ সবরকমভাবে সহযোগিতা করে।
মঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, কামারপুকুর মঠের নিজস্ব গেস্ট হাউস রয়েছে। সেই সব গেস্ট হাউসই ভর্তি হয়ে গিয়েছে। এবার দক্ষিণ ভারত থেকেও ভক্তরা এসেছেন কালীপুজো দেখতে। এছাড়া কামারপুকুরের অন্যান্য লজেও ভক্তরা উঠেছেন। রাত সাড়ে ৯ টা নাগাদ পুজো শুরু হয়। প্রায় সারারাত ধরে পুজো চলে। হোমও হয়। সকাল নাগাদ মায়ের খিচুড়ি ভোগ ও প্রসাদ বিতরণের রীতিও রয়েছে।
আজ, শুক্রবার বিকেলে মায়ের আরতি হওয়ার পর হালদার পুকুরে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হবে। এবার পুজো করতে আসেন বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সহকারী সাধারণ সম্পাদক স্বামী তত্ত্ববিদানন্দজি মহারাজ। তন্ত্রধারক ছিলেন কামারপুকুর মঠের পুরহরানন্দজি মহারাজ। কালীপুজো উপলক্ষ্যে সেখানে অন্যান্য মহারাজরাও অংশ নেন।
এদিন বর্ধমান থেকে পরিবার নিয়ে এসেছিলেন অশোক প্রামাণিক। তিনি বলেন, ঠাকুর রামকৃষ্ণদেবের টানেই কামারপুকুরে এসেছি। ঠাকুরের বাণী, তাঁর নির্দেশিত পথ অনুসরণ করে চললে পৃথিবী দীপাবলির আলোয় আলোকিত হবে। এদিন আমরা এখানে কালীপুজো দেখতে এসেছি।
ভিন জেলা ও রাজ্য থেকে এদিন বহু ভক্ত কালীপুজো দেখতে আসেন। বাঁকুড়ার কোতুলপুর থেকেও পরিবারের সঙ্গে এসেছিলেন রূপসা মল্লিক। তিনি বলেন, প্রত্যেক বছরই কালীপুজো উপলক্ষ্যে কামারপুকুর মঠে আসা হয়। পুজো দেখব। প্রসাদ গ্রহণ করব। তার সঙ্গে মঠের মনোরম পরিবেশ ঘুরে দেখব। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মঠে কালীপুজো উপলক্ষ্যে বিপুল ভক্ত সমাগমের জন্য পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে। রয়েছে মহিলা পুলিস পরিচালিত উইনার্স টিমও।