প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
ছবি এক, ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পালপাড়া হড়হড়িয়া। প্রায় ১০০ মিটার দৈর্ঘ্যের ওই রাস্তায় এখনও জমে রয়েছে জল। ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। জমা জলে জন্মাছে মশার লার্ভা। জলে ডুবে যাওয়া রাস্তায় ইট ফেলে কোনওক্রমে তার ওপর দিয়েই চলছে যাতায়াত।
ছবি দুই, সোনাপট্টি বাজার। ওই গলিতে নিকাশি রয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, দীর্ঘদিন তা সংস্কার হয় না। বেশিরভাগ সময়েই বৃষ্টি নামলে সোনাপট্টির ওই রাস্তা নালা উপচে জলে ভরে যায়। ব্যবসায়ীরা নিজেরা নিকাশি পরিষ্কার করলে তবেই নামে জল। শুধু এই দু’-একটি গলি কিংবা গ্রাম নয়, অভিযোগ ইসলামপুরের একাধিক এলাকায় বৃষ্টি নামলেই জল জমে যায়। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে তারপরেও কেন নিকাশি তৈরি অথবা সংস্কারে দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে না পঞ্চায়েত?
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই রানিনগর ১ ব্লকে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ২২৫ ছাড়িয়েছে। সপ্তাহ কয়েক আগে ডেঙ্গুর বলিও হয়েছেন একজন। এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গু অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ৬০। এই অবস্থায় বৃষ্টি নামলেই জল জমে যাওয়ায় আদৌ নিয়ন্ত্রণে আসবে ডেঙ্গু? তাই নিয়েও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন! চিকিৎসকরা অবশ্য বলছেন, ডেঙ্গু রুখতে চিকিৎসার পাশপাশি সতর্কতাও বিশেষ প্রয়োজন। রানিনগর ১ ব্লকের বিএমওএইচ চিকিৎসক হাসানুল হাশিন বলেন, প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই ভালো।
যদিও স্থানীয়রা প্রশ্ন তুলেছেন, বাড়ির সামনের রাস্তায় যদি এভাবে জল জমে থাকে তাহলে মশাবাহিত রোগের থেকে মানুষ ঠিক কতটা সুরক্ষিত?
হারু মণ্ডল নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, বৃষ্টি নামলেই পালপাড়া হড়হড়িয়ার জল জমে যায়। নিকাশি না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে জল জমে থাকে। নোংরা জলের ওপর দিয়েই যাতায়াত করতে হয় আমাদের। আমরা চাই দ্রুত নোংরা জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হোক।
ইসলামপুর বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, এভাবে জল জমে থাকলে মানুষ কীভাবে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষিত থাকবে? জমা জলে মশার ডিম পাড়ছে। চারিদিকে যেভাবে ডেঙ্গু বাড়ছে তাতে জল জমার কারণে চিন্তা বাড়ছে। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া নেওয়ার জন্য চক ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বেগম হাসিনা নুসরতকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।