প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
কালনা স্টেশন সংলগ্ন এসটিকেকে রোডের ধারে তেঁতুলতলা মোড়ে মহকুমার বৃহত্তম ছানার পাইকারি বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে। কালনা সহ কাটোয়া, দাইহাট, পূর্বস্থলী ও হুগলি জেলার গুপ্তিপাড়া থেকে অনেকে আসেন। নদীয়া জেলার শান্তিপুর থেকেও প্রতিদিন বহু কারবারি ছানা নিয়ে এই পাইকারি বাজারে আসেন। গড়ে প্রতিদিন ১৫-২০ কুইন্টাল ছানা বিক্রি হয় এখানে। পুজো-পার্বণ বা বিয়ের মাসগুলিতে ছানার জোগান ২৫-৩০ কুইন্টাল হয়ে যায়। উৎসব-অনুষ্ঠান না থাকলে ছানার দর থাকে ১৪০-১৫০টাকা। উৎসবের মরুশুমে তা বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে যায়। কালীপুজো ও সামনে ভাইফোঁটা, ছটপুজো। সব জায়গায় মিষ্টির ব্যাপক চাহিদা থাকে। দিনকয়েক ধরে ছানার দাম ২০০টাকার উপর ছিল। বুধবার এক লাফে বেড়ে তা ২৭০ টাকা ওঠে।
ছানা বিক্রেতা অনন্তরাম ঘোষ বলেন, ১২০-১৪০ টাকায় ছানা বিক্রি করলে লোকসান হয়। যেভাবে গোরুর খাবারের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে দুধ বিক্রি করলে একটু লাভ দেখা যায়। কিন্তু কম দামে ছানা বিক্রি হলে লাভ হয় না। দুধ বিক্রির জায়গা না থাকায় ছানা তৈরি করতে বাধ্য হই। উৎসবের দিনগুলি ও বিয়ের মাসে একটু বেশি দাম পাই। ছানার আড়তদার বাপি পাল বলেন, বহু পুরনো এই পাইকারি বাজারে বিভিন্ন জেলা থেকে ছানার কারবারিরা আসেন। চাহিদার উপর নির্ভর করে নিলামের মধ্যে দিয়ে দাম ঠিক হয়। পুজোর সময় ২৫-৩০ কুইন্টাল ছানা বিক্রি হয়। কলকাতা সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে মিষ্টির দোকানদাররা এসে ও ফোনের মাধ্যমে বুকিং করে ছানা কেনেন। রবিবার ভাইফোঁটা। সেকারণে মিষ্টির চাহিদা অনেকটা বেড়েছে। মিষ্টির দোকানদার ও কারিগররা ছানা ও ক্ষীরের রকমারি মিষ্টি তৈরিতে হিমশিম খাচ্ছেন। কার্যত দম ফেলার সময় নেই। চকবাজারের মিষ্টির দোকানদার রণজিৎ মোদক বলেন, ছানার দাম অনেকটাই ঊর্ধ্বমুখী। ছানার দর বেশি থাকায় দুধের জোগান কমে গিয়েছে। ক্ষীরের তৈরি মিষ্টি বানাতে বেশি দামে দুধ কিনতে হচ্ছে। তবুও দোকানের সুনাম রাখতে ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে মিষ্টি দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।