প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী বলেন, তালডাংরা উপ নির্বাচনের সামগ্রিক প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে জেলা নেতৃত্বের মধ্যে থেকে ‘অবজার্ভার’ ও ‘লিড ক্যাম্পেনার’ হিসেবে বেশ কয়েকজনকে নিয়োগ করা হয়েছে। ভোট পরিচালনায় অভিজ্ঞদের এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। প্রচারের পাশাপাশি তাঁরা ভোটের যাবতীয় খুঁটিনাটি লক্ষ্য রাখবেন। তালডাংরায় জয়কে পাখির চোখ করে আমরা লক্ষ্যে অবিচল রয়েছি। তিনি বলেন, ভ্রাতৃদ্বিতীয়ায় জেলার অন্যান্য প্রান্তের সঙ্গে তালডাংরা বিধানসভা এলাকাতেও ‘গণ ফোঁটার’ আয়োজন করা হবে। সেখানে দলের নেতাকর্মীরা সক্রিয়ভাবে অংশ নেবেন। ওই গণ ভাইফোঁটার মঞ্চ থেকেই জনসংযোগ ও প্রচার শুরু হবে, যা আগামী দেড় সপ্তাহ ধরে নিবিড় ও তীব্রভাবে চলবে। বিজেপি ও সিপিএম এবারের ভোটে হালে পানি পাবে না।
উল্লেখ্য, তালডাংরা বিধানসভা উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাঁকুড়া জেলায় রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়তে শুরু করেছে। তৃণমূল ও বিজেপি-র মধ্যেই মূল লড়াই হবে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। তবে তালডাংরা একসময় সিপিএমের গড় ছিল। ফলে আর জি কর পরবর্তী পরিস্থিতিতে লালাপার্টি নিজেদের ভোট বাড়াতে পারলে বিজেপি চাপে পড়বে বলে অনেকে মনে করছে। বিরোধী ভোট ভাগ হলে তৃণমূলেরই সুবিধা হবে।
তালডাংরার বিজেপি প্রার্থী অনন্যা রায় চক্রবর্তী বলেন, এদিন আমরা তালডাংরা ব্লকের ফুলমতি অঞ্চলে প্রচার করেছি। ভাইফোঁটার আগে থেকেই দলের তরফে লাগাতার প্রচার শুরু হয়েছে। তৃণমূল বিরোধী ভোটাররা পদ্মফুলের বোতাম টিপবেন। বিরোধী শিবিরের ভোট বিভাজনের কোনও লাভ তৃণমূল তুলতে পারবে না।
সিপিএম প্রার্থী দেবকান্তি মোহান্তি বলেন, এদিন কর্মীদের নিয়ে সিমলাপাল ব্লকের মাচাতোড়া অঞ্চলে আমরা প্রচার সেরেছি। দুর্নীতি সহ অন্যান্য ইস্যুতে তৃণমূল ও বিজেপি-র বিরুদ্ধে মানুষ এবার রায় দেবে। আমরা তালডাংরায় জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
এদিন সিমলাপালে কংগ্রেসের তরফে ইন্দিরা গান্ধীর প্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে রাজনৈতিক কর্মসূচি নেওয়া হয়। জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তালাডাংরা উপ নির্বাচনের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে কলকাতা থেকে অবজার্ভার শুভাশিস ভট্টাচার্য ও অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় এদিন সিমলাপালে আসেন। তাঁরা দলের প্রার্থী তুষারকান্তি ষন্নিগ্রহীর হয়ে প্রচার করেন। এদিন ইন্দিরা গান্ধীর মূর্তিতে মাল্যদান করে সিমলাপাল বাজারে মিছিল হয়।