প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
কালীপুজোর ভাসান নিয়ে বেশ কিছু নিয়মবিধি লাগু করা হচ্ছে। ভাসানের রাতে কৃষ্ণনগরে যে অশান্তি ঘটে, তা রোখাই পুলিসের লক্ষ্য। জগদ্ধাত্রী পুজোর আগে কালীপুজোর ভাসানকে অ্যাসিড টেস্ট হিসেবেও দেখছে পুলিস।
কৃষ্ণনগর পুলিস জেলার ডিএসপি শিল্পী পাল বলেন, আমরা কালীপুজোর ভাসান নিয়ে বেশ কিছু কড়া নিয়ম চালু করছি। শোভাযাত্রায় আসা পুজো কমিটির সদস্যদের পুলিসের তরফে কার্ড দেওয়া হবে। শান্তিপূর্ণভাবে ভাসানের শোভাযাত্রা করার জন্য আমরা সচেষ্ট হয়েছি যাতে রাস্তার দু’ধারে দর্শনার্থীরা ভালো করে ভাসান দেখতে পারেন।
কৃষ্ণনগরে ভাসানের শোভাযাত্রায় অশান্তি, বিশৃঙ্খলা একরকম প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শোভাযাত্রা চলাকালীন শহরের বিভিন্ন বারোয়ারি পুজো কমিটি একে অপরের সঙ্গে মারপিট, লাঠালাঠিতে জড়িয়ে পড়ে। আগে দুর্গাপুজোর ভাসান শান্তিপূর্ণ হতো। এবছর সেই দুর্গাপুজোর ভাসানেও ব্যাপক অশান্তি হয়েছে। এমনকী, এক যুবককে রাস্তায় ফেলে গণপিটুনি দেওয়া হয়। শহরবাসীর অভিযোগ, গত কয়েকবছরে ভাসানের সময় পুলিসের নমনীয়তার জেরেই বিভিন্ন পুজো কমিটির এত বাড়বাড়ন্ত হয়েছে। ভাসানের শোভাযাত্রায় বেরনো নেশাগ্রস্তদের কারণেই শহর অশান্ত হয়ে ওঠে।
অশান্তি রুখতে শনিবার কালীপুজোর ভাসানের রাতে কৃষ্ণনগর শহরেই প্রায় ২০০ পুলিসকর্মী রাখা হবে। প্রতি বছর দেখা যায়, প্রতিমার সঙ্গে কাতারে কাতারে মানুষ হাই স্ট্রিটের রাস্তা ধরে রাজবাড়ি ও সেখান থেকে কদমতলা ঘাটের দিকে ছুটে চলেছে। কিন্তু এবছর প্রতিমার সঙ্গে পুজো কমিটির ১০০জন করে সদস্যকে এভি স্কুল মোড় থেকে রাজবাড়ি পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। তার জন্য পুলিস ওই সমস্ত পুজো কমিটিকে বিশেষ কার্ড দেবে।