সুখেন্দু পাল, বর্ধমান: কখনও ভূতের মুখোমুখি হয়েছেন? তাদের আস্তানায় ঢুকে দেখেছেন? গা ছমছমে সেই পরিবেশ কেমন হয় জানার আগ্রহ রয়েছে? এসব কিছু চাক্ষুষ করতে হলে আসতে হবে বর্ধমানের মেহেদিবাগান বারোয়ারি সর্বজনীন শ্যামাপুজো কমিটির মণ্ডপে। এবার তাদের থিম পুরনো হাভেলিতে ভূতের প্রকোপ। শোনা যাবে ভূত-প্রেত্নীদের কণ্ঠস্বর। মণ্ডপ দর্শন করার সময় আচমকাই চলে আসবে ভূতের দল। কয়েকজন ভূতের বেশে মণ্ডপেও ঘুরে বেড়াবে। পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে থাকবে আলোকসজ্জা ও সাউন্ড এফেক্ট। পুজো উদ্যোক্তা ইফতিকার আহমেদ ওরফে পাপ্পু বলেন, এবারের পুজো ৭৮ বছরে পা দিয়েছে। প্রতিবারই আমরা নতুন নতুন থিম তৈরি করে চমক দিই। এবার ভূতের বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। মণ্ডপসজ্জা দর্শকদের মনজয় করবে। ভূত নিয়ে অনেকের আগ্রহ রয়েছে। তা দেখার জন্যও অনেকে দূরদূরান্তে যান। পুরনো একটি বাড়ির আদলে মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে। গা ছমছমে পরিবেশ। কিছুটা মণ্ডপ ঘোরার পর প্রতিমা দেখা যাবে। পুজো দেখতে আসা দর্শনার্থীরা এখান থেকে আলাদা রকম অনুভূতি নিয়ে বাড়ি ফিরবেন। তিনি আরও বলেন, বৃষ্টির জন্য মণ্ডপ তৈরির কাজ থমকে গিয়েছিল। রবিবার থেকে আবার কাজে গতি এসেছে। পুজোর আগের দিনই মণ্ডপ তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাবে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান শহরে আরও সাত থেকে আটটি বিগ বাজেটের কলীপুজো হচ্ছে। বিভিন্ন থিম তুলে ধরে প্রতিটি পুজো কমিটি চমক দিতে চাইছে। শহরে অনুমতি নিয়ে প্রায় ৫০টি পুজো হচ্ছে। পুজো উদ্যোক্তারা অনলাইনে অনুমতি নিয়েছে।
কয়েক দিন আগে পুলিস আধিকারিকরা পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। রাতে ডিজে বা জোরে সাউন্ড বক্স বাজানো যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।এছাড়া আরও অনেক ছোট পুজো হয়। কিন্তু বৃষ্টির জন্য প্রতিটি পুজো কমিটিকেই বেগ পেতে হয়। মৃৎশিল্পীরাও সমস্যায় পড়েছেন। প্রতিমা না শুকানোয় রং করতে সমস্যা হচ্ছে। যদিও উদ্যোক্তাদের দাবি, প্রতিকূলতা থাকলেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। শহরের কয়েকটি পুজো কমিটি বিভিন্ন মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি করেছে। মেহেদিবাগান বারোয়ারি সর্বজনীন শ্যামাপুজো কমিটি সেদিকে না হেঁটে ভূতুড়ে পরিবেশ তৈরি করে চমক দিচ্ছে।-নিজস্ব চিত্র