ব্যবসায়িক কাজকর্মের প্রসার, কেনাবেচা বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি উপার্জন বৃদ্ধি। আঘাত ও রক্তপাতের সম্ভাবনা আছে। ... বিশদ
কমিটির সদস্য সুজয় স্বর্ণকার জানান, পুজোকে ঘিরে মাঠে এগারো দিনের মেলা বসে। হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়। মন্দিরের সামনের মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় বাউল, নৃত্যানুষ্ঠান ও যাত্রাপালা। মেলায় নাগরদোলার সঙ্গে মনোহারী সামগ্রী, বাসনপত্র বা খাবারের দোকান মিলিয়ে প্রায় তিনশো দোকান বসে। পুরনো রীতি মেনে এখনও নারকেল ও চিনি দিয়ে তৈরি হয় পুজোর প্রসাদ। প্রায় দশ হাজার হাঁড়িতে প্রসাদ তৈরি হয়। আরতির পর প্রতিদিন ৬০ কেজি ফল বিতরণ করা হয় দর্শনার্থীদের। রাতে খাওয়ানো হয় খিচুড়ি। জনপ্রিয় এই পুজোর সময় বাইরে কর্মক্ষেত্র থেকে এলাকার সকলেই ঘরে ফেরার চেষ্টা করেন। আত্মীয় পরিজনে ভরে যায় এলাকার প্রতিটি বাড়ি।
এছাড়াও অপর একটি জনপ্রিয় কালীপুজো হয় করিমপুর কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়কের উপর বাথানপাড়ার জোংড়াদহ কালী মন্দিরে। এই পুজো এবছর ৪৪ বছরে পড়ল। কমিটির এক সদস্য জানান, রাজ্য সড়কের এই জায়গায় দুর্ঘটনা লেগেই থাকত। ১৩৮৮ বঙ্গাব্দে দ্রুতগতির একটি বাস উল্টে আটজন যাত্রীর মৃত্যু হয়। সেই বছর থেকেই এই কালীপুজো শুরু হয়। প্রথম দশ বছর টালির ছাউনি দেওয়া মন্দিরে পুজো হলেও ৩৫ বছর আগে থেকে পাকা মন্দির তৈরি হয়েছে। এখানেও পুজো উপলক্ষ্যে মেলা বসে।