সপরিবারে তীর্থ ভ্রমণের সম্ভাবনা, ৪৫ ঊর্ধ্বে যাঁদের সুগার ও প্রেশার আছে তাঁরা একটু বেশি সতর্ক ... বিশদ
মঙ্গলকোট থানার পুলিসের হাতে গ্রেপ্তারের পর গোবিন্দবল্লভের কীর্তি ফাঁস করেছেন নির্যাতিতা যুবতী। তাঁর দাবি, ট্রাস্টের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন গোবিন্দবল্লভ। সেই টাকায় বীরভূমের খয়রাশোলে রিসর্ট গড়া হয়েছে। ভাঙড়ে প্রাসাদোপম বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি বৃন্দাবনেও বিশালাকার প্রাসাদ গড়েছে। অনেকে বিশ্বাস করে তাঁকে মন্দির করার জন্য টাকা দিয়েছিলেন। নির্যাতিতার দাবি, ইউপিআই ও নগদে টাকা লেনদেন হতো। এমনকী ওই যুবতীর কাছ থেকেও দেড় লক্ষ টাকা ‘প্রণামী’ নিয়েছিলেন। ওই টাকায় মন্দির ও আশ্রম তৈরি করে সেখানেই মঙ্গলকোটের ওই যুবতীকে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
নির্যাতিতার আরও অভিযোগ, এর আগে ২০১১সালে পাঞ্জাবের আনন্দপুরে এক কিশোরীকে আশ্রমে ঠাঁই দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সহবাস করেছিলেন মহারাজ। কিশোরী তিনবার গর্ভবতী হয়ে পড়ে। ওই কিশোরী পুলিসে অভিযোগ করে। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে বৃন্দাবনে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন গোবিন্দবল্লভ। নির্যাতিতা বলেন, আমাকে প্রার্থনার আসরের নামে একাধিক জায়গায় ডেকে নিয়ে গিয়ে সহবাস করেন। গত ২৬সেপ্টেম্বর আমার বাড়িতে লোক পাঠিয়ে মামলা তুলতে টাকার টোপ দেওয়া হয়। ১০-২৫ লক্ষ টাকার লোভ দেখানো হয়। কিন্তু আমি মামলা তুলব না। এদের একটা বড় র্যাকেট রয়েছে। সেখানে অনেকেই জড়িত রয়েছে। আমি চাই মানুষের কাছ থেকে প্রণামী হিসেবে যে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলা হয়েছে তা সরকার যেন বাজেয়াপ্ত করে। পাশাপাশি ব্যক্তিগত সম্পত্তি নিয়েও তদন্ত করা হোক। যাতে আমার মতো বহু মহিলার জীবন নষ্ট না হয়। মেয়েদের আশ্রমে রেখে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এরকম কাজ করে। ধর্মের নামে অভিনয় করে মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ওরা স্বামী-স্ত্রী মিলে ব্যবসা ফেঁদেছে। মঙ্গলকোট থানার পুলিস আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করেনি। যদিও কাটোয়ার এসডিপিও কাশীনাথ মিস্ত্রি বলেন, পুলিস গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে।