ধর্মের নামে মহিলাদের সরলতার সুযোগে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগে ধৃত গডম্যান রামরহিম বা আশারাম বাপুদের কীর্তি সবার জানা। মঙ্গলকোটের যুবতীর সঙ্গে সহবাস করে প্রতারণায় অভিযুক্ত মহারাজ গোবিন্দবল্লভ শাস্ত্রীর বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ উঠছে।
যোগীরাজ্য থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক নিয়ে বাংলায় ঢুকে গ্রেপ্তার হল বিজেপি নেতা। উত্তরপ্রদেশের বারাণসী থেকে এক কেজি ১২০ গ্রাম ব্রাউন সুগার নিয়ে ট্রেনে করে পানাগড়ে আসে গলসি-২ মণ্ডলের বিজেপির কনভেনর অজিতকুমার দাস।
সপরিবারে তীর্থ ভ্রমণের সম্ভাবনা, ৪৫ ঊর্ধ্বে যাঁদের সুগার ও প্রেশার আছে তাঁরা একটু বেশি সতর্ক ... বিশদ
সংবাদদাতা, করিমপুর: ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’-র খবরে আশঙ্কিত করিমপুরের চাষিরা। মাঠের ফসল রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। ভেঙে যাওয়ার ভয়ে জমিতে বাঁশের খুঁটি দিয়ে কলাগাছ কিংবা পটলের মাচা মজবুত রাখার চেষ্টা করছেন। এখন মাঠে কলাই, ধান, কলা, পটল, বেগুন, লঙ্কা সহ বিভিন্ন আনাজ রয়েছে। এই সময়ে ঝড় বা বৃষ্টি হলে সব ফসলের ক্ষতি হয়ে যাবে। এলাকার চাষিরা জানাচ্ছেন, এই বৃষ্টিতে ধান চাষের তেমন ক্ষতি না হলেও সব্জি চাষের ক্ষতি হবে। কারণ করিমপুর ১ ও ২ ব্লকে খুব বেশি ধান চাষ হয় না। এখন এখানে বেশিরভাগ জমিতে কলা ও আনাজ চাষ হয়েছে। এছাড়া এই মরশুমে মাঠে কয়েক হাজার বিঘা কলাই চাষ রয়েছে। চাষিদের দাবি, বৃষ্টির ফলে কলাইয়ের ফুল যেমন নষ্ট হবে, তেমনি বৃষ্টির জল জমলে কলাইয়ের উৎপাদন হবে না। অন্যদিকে, বৃষ্টি হলে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে আনাজ চাষেও। বিশেষ করে লঙ্কা, পটল ও বেগুনের। হোগলবেড়িয়ার চাষি উত্তম মণ্ডল বলেন, এই বৃষ্টির ফলে মাঠের সমস্ত কলাই গাছ নষ্ট হয়ে যাবে। আমারও আড়াই বিঘা কলাই ও বিঘা খানেক পটল চাষ আছে। ঝড়বৃষ্টি হলে পটলের লতা মরে যাবে। পটলের ফুল নষ্ট হওয়ায় পটলের উৎপাদন কমেছে, আবার দামও আগের থেকে অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। করিমপুরের চাষি আলাহিম মণ্ডল বলেন, এই নিম্নচাপে একটু ভারী বৃষ্টি হলে শুধু পটল নয়, মাঠের সব সব্জির ক্ষতি হবে। বৃষ্টির জন্য গাছের গোড়া পচে যাবে। গাছ মরে যাবে। আর সঙ্গে একটু বাতাস বইলে পটলের মাচা ভেঙে পড়বে। লঙ্কা গাছে গোড়ার মাটি নড়ে গেলে লঙ্কা গাছ শেষ হয়ে যাবে। বাতাস হলে কলাগাছ ভেঙে পড়বে। সে ক্ষেত্রে চরম লোকসানের মুখে পড়বেন চাষিরা। এমনিতেই এবছর সব্জি উৎপাদন কম হয়েছে। করিমপুর ২ ব্লকের চাষি ইব্রাহিম শেখ বলেন, বর্ষাকালে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় একবার চাষের ক্ষতি হয়েছে। বহু জমির পাট শুকিয়ে গিয়েছে। জলাশয়ে জলের অভাবে পাট দূর দূরান্তে নিয়ে যেতে চাষিদের অনেক বেশি টাকা খরচ হয়েছে। সেইসময়ে বৃষ্টি হলে অনেক সুবিধা হতো। এখন বৃষ্টি হওয়ায় ঠিক ততটাই চিন্তা হচ্ছে। সব্জির পাশাপাশি নিচু জমির সমস্ত কলাই নষ্ট হয়ে যাবে। সব ক্ষতিই মেনে নিতে হবে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় তো আর আটকানো যাবে না। হোগলবেড়িয়ার এক কলাচাষি সাধন প্রামানিক জানান, এই এলাকায় মূলত চাপা কলা ও সিঙ্গাপুরি এই দুই রকম কলার চাষ হয়। প্রতি বিঘা জমিতে চাপা কলা চাষে ১৩/১৪ হাজার ও সিঙ্গাপুরি কলার জন্য ২৫/৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। গত কয়েক মাসে ঝড়ে কলাগাছ ভেঙে বহু চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাই এখন ‘ ডানা’-র হাত থেকে বাঁচতে সব কলা চাষি গাছে বাঁশ বাঁধায় ব্যস্ত, যাতে কলাগাছ ভেঙে না পড়ে।
