কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
কয়েকমাসে সর্বগ্রাসী গঙ্গা সামশেরগঞ্জের মানচিত্র বদলে দিয়েছে। বড় পাকা দোতলা বাড়ি, ছোট একতলা বাড়ি, আটচালা ঘর সবই বিলীন হয়েছে গঙ্গার অতলে।
বিঘার পর বিঘা জমি, ফলের বাগান গিলেছে গঙ্গা। কয়েকদিন ধরে গঙ্গার জলস্তর বেড়েই চলেছে। এমনই অবস্থা ছিল যে, প্রতাপগঞ্জের একমাত্র পুজো আদৌ করা সম্ভব হবে কিনা, তা নিয়ে গ্রামের মানুষ সংশয়ে ছিলেন। গ্রামের একমাত্র পাকা রাস্তাও জলের তলায়। সর্বহারা মানুষ গ্রামের আইসিডিএস কেন্দ্র, ফ্লাড শেল্টার কিংবা আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে উঠেছেন। কিন্তু এভাবে আর কতদিন চলবে? এই বিপর্যয়ের মধ্যেই পুজো এসেছে। কিন্তু চোখের জলে পুজোর আনন্দ ধুয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। কারও একচিলতে ঘর, আবার কারও স্বপ্নের দোতলা বাড়ি গঙ্গার গ্রাসে গিয়েছে। তারপরেও কষ্ট করে পুজোর আয়োজন করছেন প্রতাপগঞ্জবাসী। প্রতাপগঞ্জ দুর্গাপুজো কমিটি এবার কোনওরকমে পুজো সারছে। দেবীর কাছে ভাঙন রুখে দেওয়ার জন্য মানত করছেন তাঁরা। প্রতাপগঞ্জ হাটের আশপাশে তিনটি আইসিডিএস কেন্দ্রে ২০টি পরিবার রয়েছে। তাঁদের সঙ্গে নিয়েই প্রতাপগঞ্জ হাটের মাঝে মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। সেখানেই নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো করা হবে। পুজো কমিটির তরফে শ্যামল সরকার বলেন, অনেকেরই সবকিছু শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু ভাঙন রোধের আশা নিয়ে আমরা বেঁচে আছি। গ্রামের একমাত্র রাস্তাও এখন জলের তলায়। কোনওরকমে পুজোটা হচ্ছে। গতবার আমাদের বাজেট ছিল তিন লক্ষ টাকা। এবার সেটা কমিয়ে দেড় লক্ষ টাকায় নামানো হয়েছে। ভাঙনে সর্বহারা প্রায় ২০টি পরিবার হাটেরই পাশে তিনটি আইসিডিএস কেন্দ্রে রয়েছে। তাঁদের সঙ্গে নিয়েই আমরা পুজোর আয়োজন করছি। একাদশীর দিন সমস্ত গ্রামবাসীদের খিচুড়ি ভোগ খাওয়ানো হবে। পুজোর আনন্দ আর আমাদের মধ্যে নেই। শুধু ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা, যেটুকু গ্রাম অবশিষ্ট আছে, সেটুকু যেন রক্ষা পায়। আর যেন ভাঙন না হয়।