কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
এখন আয়োজকরা বেশ বড় করেই পুজোর আয়োজন করেন। থিমের কাজে বোলপুর- শান্তিনিকেতনে যে কয়েকটি পুজো নাম কুড়িয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য শ্যামবাটি যুব সমিতি। সমিতির সভাপতি কালিকারঞ্জন চট্টোপাধ্যায় ও কোষাধ্যক্ষ অবিচল সিংহ রায় জানালেন, এবার পুজোর থিম শ্রীকৃষ্ণের দ্বারকা নগরী। মহাসমুদ্রের তলায় ভগবান বিষ্ণু শায়িত রয়েছেন-সেই দৃশ্য শিল্পীরা নিখুঁতভাবে তুলে ধরেছেন। এই কাজের জন্য থার্মোকল, বস্তা, কাপড় প্রভৃতি সহজলভ্য উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। আমাদের পুজোর বাজেট সাড়ে চার লক্ষ টাকা। প্রতিবারের মতো এবছরও শ্যামবাটি যুব সমিতির দুর্গাপুজো দেখতে বিপুল মানুষের সমাগম হবে, এমনটাই আশা পুজো উদ্যোক্তাদের।
শ্যামবাটি এলাকাটি বোলপুর শহরের ২নম্বর ওয়ার্ডের আওতায় পড়ে। বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাস যেখানে শেষ হচ্ছে, সেখানেই শুরু শ্যামবাটির বাজার।এই বাজারের পিছনে জনবসতি রয়েছে। সেখানেই দীর্ঘদিন ধরে সমিতির সদস্যরা পুজো করে আসছেন। প্রথম বছর প্রতিবেশী গোয়ালপাড়ার এক শিল্পী তাঁদের প্রতিমা গড়ে দিয়েছিলেন। শুরুর দিকে উদ্যোক্তাদের মধ্যে কালিকারঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, ব্রীজকান্ত ঝা, মহেন্দ্র দে, রামদাস বিশ্বাস ছিলেন অন্যতম। প্রথম বছর রামদাসবাবুর বাড়ির বারান্দাতেই পুজো হয়েছিল। সেবার স্থানীয় বধূরা নিজেদের শাড়ি দিয়ে মণ্ডপ তৈরিতে সহায়তা করেন। পরবর্তীতে এই সমিতির সদস্যরা মন্দির গড়ার লক্ষ্যে একটু একটু করে টাকা জমানো শুরু করেন। এই কাজে গ্রামবাসীরাও সহায়তায় এগিয়ে আসেন। অবশেষে সবার মিলিত চেষ্টায় ২০০৮ সালে স্থায়ী মন্দির তৈরি করেন শ্যামবাটি যুব সমিতির সদস্যরা। তারপর থেকে ওই মন্দিরেই পুজো হয়।
সমিতির সম্পাদক সঞ্জিত পাশোয়ান বলেন, বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসের কাছেই আমাদের দুর্গাপুজো আয়োজন হয়। সেজন্য প্রতি বছর পুজো মণ্ডপে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের চোখে পড়ার মতো ভিড় থাকে। এবারও তার অন্যথা হবে না। আমাদের পুজো কার্যত চাঁদের হাট হয়ে ওঠে।