কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
গত কয়েক বছর ধরে জেলায় পুজো ‘ডেস্টিনেশন’-এর মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে বাদকুল্লা। একাধিক বিগ বাজেটের পুজো, থিম, নজরকাড়া আলোকসজ্জা থেকে ছোট পুজো, কী নেই। পুলিসের হিসেবে সবমিলিয়ে ওই অঞ্চলে ছোটবড় প্রায় ৩০টি পুজো হয়। এরমধ্যে বিগ বাজেটের পুজো প্রায় ১০টি। বেশ কয়েকটা থিমের পুজোও মাথাচাড়া দিয়েছে গত কয়েক বছরে। ফলে পুজোর দিনগুলিতে কার্যত জনতার ঢল নামে রানাঘাট-কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়কে। এমতাবস্থায় ওই পথ দিয়ে যান চলাচল অসম্ভব। শুধু বাদকুল্লা এলাকার মানুষ নন, আশেপাশের বিভিন্ন ব্লক থেকেও প্রচুর মানুষ ভিড় করেন এখানকার ঠাকুর দেখতে। তাই নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই ওই রাস্তায় গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিস। ষষ্ঠী থেকে দশমী, বিকেল পাঁচটার পর রাজ্য সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে। পালপাড়া মোড় থেকে বিকল্প পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে গাড়িগুলি। এই রাস্তা দিয়ে সরাসরি রানাঘাট অথবা কৃষ্ণনগর যাওয়া যাবে।
ভিড় নিয়ন্ত্রণে চন্দনদহ, নপুকুরিয়া, গাঙলির মতন এলাকাগুলিতে বসানো হবে ড্রপ গেট। শান্তিপুর থেকে আসা গাড়িগুলিকে আটকানো হবে ইউনাইটেড স্কুলের সামনে ড্রপ গেটে। গোটা রাস্তায় মানুষের নিরাপত্তার জন্য পুলিস আলাদা করে ক্যাম্প তৈরি করছে। তবে ভিড়ের কারণে বড় গাড়ি ব্যবহার করতে পারছে না পুলিসও। তাদের তরফে বাইকের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।
পুলিস আরও জানিয়েছে, যাত্রীবাহী গাড়ি অথবা প্রাইভেট গাড়ির জন্য ‘নো এন্ট্রি’ থাকলেও ইমার্জেন্সি সার্ভিসের গাড়ির ক্ষেত্রে ছাড় থাকবে। দিনের বাকি সময় অবশ্য খোলা থাকবে রানাঘাট-কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়ক। পুলিসের এক কর্তা বলেন, বিভিন্ন পয়েন্টে আমাদের লোক থাকছে। যেহেতু প্রতিবছর এই নিয়ম লাগু করা হয় তাই অনেকেই বিষয়টি জানেন।
এছাড়াও রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় লেখা থাকবে। এত ভিড় হয় যে বাদকুল্লায় আমরাও বাইক অথবা হেঁটে এলাকায় টহল দিই। নিরাপত্তার জন্য পুলিস ক্যাম্পের পাশাপাশি নজরদারির জন্য থাকছে ড্রোন। অতিরিক্ত পুলিস মোতায়ন করা হচ্ছে সর্বত্র। উৎসবে মানুষের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য রানাঘাট পুলিস জেলা বদ্ধপরিকর।