ব্যবসায় বেচাকেনা বেশ ভালো হবে। কাজকর্মে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির আনুকূল্য লাভ ও ভাগ্যোন্নতি। ... বিশদ
গত শুক্রবার ছিল রানাঘাট জোড়া খুন মামলার শুনানি। জামিনের জন্য ওইদিনও আবেদন করেছিল অভিযুক্ত দীপক স্বর্ণকার। যদিও ফের তার নাকচ করে আদালত। শনিবার আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বিভিন্ন দিক থেকে দীপকের স্টিল ছবি তোলা হয়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের ঘটনাস্থলে কোনও সিসি ক্যামেরা না থাকলেও অন্যান্য জায়গায় একাধিক ক্যামেরা রয়েছে। সেই সমস্ত জায়গায় অভিযুক্তের গতিবিধি ধরা পড়ে। তা আর পাঁচ দিনের মতো স্বাভাবিক, নাকি অন্যরকম ছিল, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। কিছু জায়গায় সিসি ক্যামেরার ছবি স্পষ্ট নয়। তাই ফুটেজে দেখা যুবকই দীপক কি না, তা নিশ্চিত হতে চাইছেন তদন্তকারীরা। তার একাধিক ছবি তোলা হয়। সিসি ফুটেজের সঙ্গে এই স্টিল ছবিগুলিও বিশেষজ্ঞদের দেওয়া হবে। তাঁরাই চূড়ান্ত মতামত দেওয়ার ব্যাপারে সাহায্য করবেন। প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুলাই সন্ধ্যায় রানাঘাটের অনুলিয়ায় একটি নির্মীয়মাণ বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় রক্তাক্ত জোড়া মৃতদেহ। এর মধ্যে একজন ছিলেন ব্যবসায়ী সুমন চক্রবর্তী(৪০) এবং অন্যজন রূপম দাস(৩৮)। সুমনের গাড়ির চালক ছিলেন রূপম। ওইদিনই ঘটনাস্থল থেকে দীপককে আটক করে পুলিস। তদন্তকারীদের দাবি ছিল, দীপক মৃতের পূর্ব পরিচিত। আর্থিক লেনদেনের কারণেই এই খুন। পরে নিহত ব্যবসায়ীর স্ত্রীর তরফে একটি অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। তার ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয় দীপককে। ইতিমধ্যেই এই মামলায় গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন নিহত সুমনের স্ত্রী দেবদত্তা মুখোপাধ্যায়। এছাড়াও গ্রেপ্তারের ৬০ দিনের মধ্যে মোট চার দফায় ১৪ দিন পুলিস হেফাজত নেওয়া হয়েছে অভিযুক্তকে। দু’বার নারকো পরীক্ষার চেষ্টা হলেও সম্মতি দেয়নি দীপক। এদিকে, তদন্তের কাজ প্রায় দু’মাস হয়ে গেলেও তার স্পষ্ট অগ্রগতি নজরে আসেনি। তবে এবার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং তাতে ধরা পড়া দীপকের গতিবিধির সূত্র ধরেই খুন রহস্যের কিনারা করতে চাইছেন তদন্তকারীরা। ধৃতের আইনজীবী শুভ শর্মা বলেন, পুলিস এতদিন তদন্ত করেও আদালতে তথ্য প্রমাণ পেশ করতেই পারেনি। ঘটনাস্থলে কোনও সিসি ক্যামেরা ছিল না। অন্যান্য জায়গার ক্যামেরায় যদি আমার মক্কেলের ছবি ধরা পড়েও থাকে তাহলে তার সঙ্গে খুনের যোগ কীভাবে স্পষ্ট হবে? একজন মানুষ তো অন্যান্য জায়গায় যেতে পারে।