ব্যবসায় বেচাকেনা বেশ ভালো হবে। কাজকর্মে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির আনুকূল্য লাভ ও ভাগ্যোন্নতি। ... বিশদ
মুগবেড়িয়া পঞ্চায়েতের অধীন ভূপতিনগর গ্রামের বছর ছত্রিশের ওই বধূর এক ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে। ১৫বছর আগে ভালোবেসে তিনি বিয়ে করেন। তাঁর প্রেমিকও বিবাহিত। তিনিও ভালোবেসে বিয়ে করেছেন। বেশ কিছুদিন ধরে ওই যুগলের সম্পর্ক নিয়ে এলাকায় কানাঘুষো চলছিল। এনিয়ে দুই বাড়িতে অশান্তি হয়। গ্রাম কমিটির কাছে সালিশি সভা ডেকে মীমাংসার আর্জি জানান বধূর স্বামী। এরপর উভয়পক্ষকে নিয়ে মিটিং হয়। সেখানে বধূ এবং তাঁর প্রেমিক দু’জনকেই কড়া ভর্ৎসনা করা হয়। শুধু তাই নয়, সম্পর্ক ছিন্ন না করলে গ্রামছাড়া করার হুমকি দেওয়া হয়।
গ্রাম কমিটির হুমকিকে কোনও পাত্তা দেননি ওই যুগল। আগের মতোই তাঁরা সম্পর্ক জিইয়ে রাখেন বলে অভিযোগ। গ্রামের মোড়লরা হস্তক্ষেপ করলে ওই বধূ মুখের উপর জানিয়ে দেন, তিনি স্বামীর সংসার করার পাশাপাশি প্রেমিকের সঙ্গেও সম্পর্ক রাখবেন। তাঁর সঙ্গে কোনওভাবে যোগাযোগ বন্ধ করতে পারবেন না। এরপরই গ্রামের মোড়লরা ওই বধূ স্বামীকে থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেন। শনিবার সকালে ওই বধূকে নিয়ে তাঁর স্বামী ভূপতিনগর থানায় হাজির হন। সেসময় গ্রামের কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। থানা থেকে ওই বধূর প্রেমিক ও তাঁর স্ত্রীকেও ডেকে পাঠানো হয়।
পুলিসকে ওই বধূর প্রেমিক জানান, তিনি সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলেও ওই বধূ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই চলছেন। রোজ ফোন পান। সময়মতো খাওয়াদাওয়া করছেন কি না খোঁজখবর নেন। ওই বধূ পুলিসকে জানান, বাড়িতে তাঁর ১৩বছরের মেয়ে আছে। এক ছেলেও রয়েছে। তাই তিনি স্বামীর সঙ্গে সংসার ভাঙতে চান না। কিন্তু, প্রেমিকের সঙ্গেও সম্পর্ক ভাঙা সম্ভব নয়। তবে, পুলিস ধমক দেওয়ার পর চুপ করে যান বধূ। বধূর এধরনের কথাবার্তা শোনার পর তাঁর স্বামী বাড়িতে নিয়ে যেতে রাজি ছিলেন না। কিন্তু পুলিসের হস্তক্ষেপে আপাতত সমস্যা মেটে।