ব্যবসায় বেচাকেনা বেশ ভালো হবে। কাজকর্মে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির আনুকূল্য লাভ ও ভাগ্যোন্নতি। ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ২১ বছর আগে সুলতানপুর পঞ্চায়েতের ভাটরা গ্রামের বাসিন্দা সুজাতার সঙ্গে উপলতি গ্রামের প্রশান্ত ঘোষের বিয়ে হয়। তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। কিছুদিন ধরে স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করত প্রশান্ত। তা নিয়ে পরিবারে অশান্তি চলছিল। শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা জামাইকে নিয়ে বসে বিষয়টি মিটমাট করে দেন। আর কোনও অশান্তি করবে না বলে প্রশান্ত জানিয়েছিল। কিছুদিন পর ফের অশান্তি হয়। স্ত্রীকে ঘরবন্দি করে রাখার অভিযোগ ওঠে প্রশান্তর বিরুদ্ধে। মহালয়ার দিন দু’জনের মধ্যে অশান্তি চরমে ওঠে। অভিযোগ, প্রশান্ত স্ত্রীকে ঘরে আটকে রেখে মারধর করে। মেয়ের উপর অত্যাচারের খবর পেয়ে সেখানে যান সুজাতার বাবা নীলরতন বাগ। শ্বশুরকে দেখেই রেগে যায় প্রশান্ত। গালিগালাজ করে ঘরে থাকা ধারালো বঁটি এনে শ্বশুরের মাথায় কোপ দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে গেলে ফের শাবল দিয়ে পেটায় বলে অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় বর্ধমান মেডিক্যাল হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শুক্রবার বিকেল ৫টা নাগাদ তিনি মারা যান। ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
মৃতের ভাই নবকুমার বাগ বলেন, কিছুদিন ধরে ভাইঝিকে সন্দেহ করে জামাই অত্যাচার শুরু করেছিল। ঘরে আটকে রাখত। পুকুরঘাটে গেলেও শাশুড়িকে দিয়ে নজরে রাখত। জামাইকে ডেকে বোঝানো হয়। মহালয়ার দিন জামাই ফের ভাইঝিকে ঘরে আটকে রাখে অত্যাচার শুরু করে। খবর পেয়ে দাদা ভাইঝির বাড়িতে গেলে জামাই বঁটি এনে দাদার মাথায় কোপ দেয়। শাবল দিয়েও মারে। শুক্রবার বিকেলে দাদা মারা যায়। জামাই সহ কয়েকজনের নামে পুলিসের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। আমরা ওর দৃষ্টান্তমূলক সাজা চাই।
কালনার এসডিপিও রাকেশ চৌধুরী বলেন, প্রথমে খুনের চেষ্টার অভিযোগ করা হয়েছিল। কেস রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। এখন খুনের ধারা যুক্ত হবে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।