ব্যবসায় বেচাকেনা বেশ ভালো হবে। কাজকর্মে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির আনুকূল্য লাভ ও ভাগ্যোন্নতি। ... বিশদ
মা বাবার হাত ধরে ছোট্ট অঙ্কিতা কল্পনা হাউসের মোড়ে সাজসজ্জার জিনিস কিনছিল। মটকা কুলফির দোকান দেখে সে চিৎকার করে ওঠে, বাবা কুলফি খাব। রাস্তার ধার থেকে কুলফি কিনে মেয়েকে শান্ত করেন রঞ্জিতবাবু। ছুটির দিনে বেলডাঙা থেকে বহরমপুরে এসে সকাল সকাল সপরিবারে বেরিয়ে পড়েছেন বাজার করতে। রঞ্জিত দাস বলেন, গতকালই অফিসে ছুটি হয়েছে। পরিবারকে বলে রেখেছিলাম, শনি ও রবিবার বাজার করব। তাই প্রথম দিনই বহরমপুর এসেছি। শপিংমল এবং বড় দোকানগুলি থেকে জিনিসপত্র দেখে কিনব। তাই সকাল সকাল বাজারে এসেছি। যেটুকু কেনা বাকি থাকবে, সেটা কালকে চেষ্টা করব শেষ করার। হাতে সময় খুব কম। রবিবার বাজারে খুব ভিড় হবে, তাই আজই অধিকাংশ বাজারটা করে রাখার চেষ্টা করছি। বহরমপুরের খাগড়ার একটি বিখ্যাত ব্যান্ডের জুতোর দোকানে ভিড় ঠেলে জুতো কিনতে ঢুকছিলেন শ্রাবণী রায় চৌধুরী। তিনি বলেন, আমি পুজোর কেনাকাটা করতে আসিনি। পুজোর সময় জুতো কেনা হয় না। পুজোর পরেই বেড়াতে যাব। তাই চামড়ার একটা স্যান্ডেল কিনতে হবে বলে এসেছি। কিন্তু ভিড়ের চোটে দোকানে ঢুকতেই পারছি না।
বিভিন্ন শপিং মলে আকর্ষণীয় অফার মাইকে প্রচার করা হয়। উপহারের লোভে সেখানে কেনাকাটা করতে ঢোকেন অনেকেই। সৈদাবাদের বাসিন্দা অর্ণব সামন্ত বলেন, দু’দিন আগেই মাইনে পেয়েছি। কয়েকজন বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে বাজার করতে এসেছি। জিন্স টি-শার্ট কিনেছি। কিছু ফরমাল শার্টের খোঁজ করছি। পুজোর ফ্যাশনের পোশাকের সঙ্গে ঘরে পড়ার প্যান্ট গেঞ্জিও দেখছি। বহরমপুরের নতুন বাজারের বস্ত্র ব্যবসায়ী অভিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, শনি রবিবার শেষ পুজোর বাজারে ভালোই ভিড়ের আশা করছি। বড় দোকানগুলিতে অনেক আগে থেকে ভিড় হচ্ছে। ছোট দোকানে সবে ক্রেতারা আসছে। বন্যা পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে যেভাবে মানুষ বাজারমুখী হয়েছে, তাতে আমরা কিছুটা আশাবাদী। -নিজস্ব চিত্র