বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকেই অধীরবাবুর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে থাকা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। উল্লেখ্য, সোমেন মিত্রের মৃত্যুর পর কংগ্রেসের দ্বিতীয়বার হাল ধরেছিলেন বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ। নিজের মতো করে দল পরিচালনা করতে গিয়ে প্রতি পদে পদে তাঁকে সমালোচিত হতে হয় দলেরই নেতাদের কাছে। অনেকেই তাঁকে কংগ্রেসের ‘মুর্শিদাবাদের সভাপতি’ কটাক্ষ করতেন। প্রদেশ সংগঠনের কাজের থেকে তিনি জেলায় বেশি পড়ে থাকতেন। যার ফলে রাজ্যজুড়ে ক্ষয়িষ্ণু হয়েছে কংগ্রেস। গত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের গড় রক্ষা করতে ব্যর্থ হন অধীরবাবু। ভোটে ইউসুফ পাঠানের কাছে শোচনীয় পরাজয় হয়। তারপর থেকেই প্রদেশ সভাপতির পদ থেকে তাঁকে সরানো হতে পারে জল্পনা চলছিল। শনিবার গভীর রাতে কংগ্রেসের হাইকম্যান্ড অধীরবাবুকে প্রদেশ সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেন। তারপরই এদিন বিজেপির জেলা সভাপতি ওই পোস্ট করেন।
বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি শাখারভবাবু বলেন, অধীরবাবু পদ থেকে অপসারিত হয়েছেন। এখন তিনি সবদিক থেকে প্রাক্তন। বয়স হয়েছে তাঁর। মানুষের বয়স হলে মন্দিরে যায়, তীর্থ ভ্রমণ করতে যায়। আর উনি তো অনেক ভুল ভ্রান্তি করেছেন। তাই এখন যদি বিজেপির মন্দিরে এসে নিজেকে পবিত্র করার চেষ্টা করেন, তাহলে আমার দিক থেকে তাঁকে স্বাগত জানাই।
এনিয়ে জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, যে কোনও রাজনৈতিক দলের সভাপতি নির্বাচন সেই দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব ঠিক করে। এটা একটা রাজনৈতিক প্রক্রিয়া। সব দলের মধ্যেই হয়ে থাকে। আজ যদি শাখারভ সরকারের বিজেপি থেকে পদটা চলে যায় তাহলে তিনি কি কংগ্রেসে আসবেন? আগে সেটা নিয়ে তাঁকে ভাবনাচিন্তা করতে বলব। অধীর চৌধুরী একজন জননেতা। তিনি দীর্ঘদিনের সাংসদ। তাঁর এখন করণীয় কী, তিনি সেটা ভালো করেই জানেন। এই অনভিজ্ঞ এবং বয়সে তরুণ শাখারভের আরও অভিজ্ঞতা দরকার। আশা করব, ঈশ্বর তাঁকে অভিজ্ঞতা দান করবেন।