ব্যবসায় বেচাকেনা বেশ ভালো হবে। কাজকর্মে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির আনুকূল্য লাভ ও ভাগ্যোন্নতি। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, পরপর তিনবছর বর্ষার অভাবে ধানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। ২০২২ সালে অনেক জমিই ফাঁকা পড়ে ছিল। বিগত বছরগুলিতে কম বৃষ্টিপাতের কারণে জেলাতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রাও খানিক কমানো হয়েছে। এবার ২ লক্ষ ৮৮ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ হওয়ার কথা। স্বাভাবিক নিয়মে এর ১০ শতাংশ জমিতে বীজতলা তৈরি হয়। অর্থাৎ প্রায় ২৯ হাজার হেক্টর জমি বীজতলা হবে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে ধান বীজ ফেলে দিয়েছেন চাষিরা। আগামী দু’-তিনদিনের মধ্যে বাকি জমিতেও বীজতলা তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এমনিতে গত চার দিনে প্রায় ৯৯ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। জুলাই মাসে যদি ৩২৫ মিমি স্বাভাবিক বৃষ্টির হওয়ার কথা। সেখানে প্রথম চারদিনেই ৩৫ শতাংশ বৃষ্টি হয়ে গেল। এর মধ্যে মহম্মদবাজারে ৫৬ মিমি, দুবরাজপুরে ৫৫ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে চাষিদের মনে। কেন না জুন মাস কার্যত খরা গিয়েছিল। সাধারণভাবে জুন মাসে ২৩৪ মিমি বৃষ্টি লাগে। সেখানে গড়ে মাত্র ৩৫ শতাংশের কাছাকাছি বৃষ্টি হয়েছিল। বীজতলা হয়েছিল মাত্র ২ শতাংশ জমিতে। বীজ ফেলতে দেরি হওয়ায় চাষিরাও দুশ্চিন্তায় ছিলেন। কিন্তু ক’দিনের টানা বৃষ্টিতে চাষিদের মধ্যে ছুটোছুটি লেগে গিয়েছে। জমি তৈরির জন্য মাঠে মাঠে ট্রাক্টর চলছে। বীজতলাতে জল বাঁধিয়ে আমন ধানের বীজ ফেলা হচ্ছে। এখন চাষিদের একটাই লক্ষ্য, অতি দ্রুত বীজতলা তৈরি করতে হবে। সিউড়ি-সাঁইথিয়া রোডের রাস্তার ধারে বীজতলা তৈরি করা এক চাষি শ্যামল সাহা বলেন, একদিকে যেমন বীজ ফেললাম তেমনই আল ছাঁচ করে জমিতে ট্রাক্টর ঘুরিয়ে রাখলাম। এই বৃষ্টিতে অনেকটাই মাটি ভিজে গিয়েছে। এবার যত জল জমবে ততই ভালো হবে। বীজ বড় হতে হতে ধান লাগানো জমির ঘাস, লতাপাতা সব নষ্ট হয়ে যাবে। তবে আরও বৃষ্টির প্রয়োজন। না হলে এই বর্ষার ধান সাবমার্সিবলের জলে চাষ করা সম্ভব হবে না।